০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ২ মাসের যুদ্ধবিরতির শর্ত দিল হামাস

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার
  • / 388

Mourners react next to the bodies of Palestinians killed in an Israeli strike, in the northern Gaza Strip March 15, 2025. REUTERS/Mahmoud Issa TPX IMAGES OF THE DAY

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গাজাকে সমতল ভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে হামলার তীব্রতা। একতরফাভাবে আশ্রয় শিবির, হাসপাতাল, জনপদ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে যায়নবাদী বাহিনী। রবিবার ফজরের সময় থেকেই হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী সেনারা। ইতিমধ্যে শহিদ হয়েছেন দেড়শোর বেশি গাজাবাসী।

আল মাওয়াসির তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চলেও নৃশংস হামলা করতে বাদ দিচ্ছে না ইসরাইল। সেখানেই শহিদ হয়েছেন ৫৫ জন। মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় লক্ষ মানুষ আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে না হলে তিলে তিলে মৃত্যুর অপেক্ষা করছে। এরই মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব এনেছে বীরযোদ্ধার দল হামাস।

আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য যুদ্ধবিরতি অব্যাহত: ভারতীয় সেনাবাহিনী

নতুন করে আলোচনার পর গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন চুক্তির অধীনে আরও জিম্মি মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এই প্রস্তাব অনুসারে, গোষ্ঠীটি তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের অর্ধেককে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় নতুন করে বড় ধরনের হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরেই এই আলোচনা শুরু হয়।

আরও পড়ুন: কেন যুদ্ধবিরতি! সবকিছুর ব্যাখ্যা চেয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি রাহুলের

৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস ৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। নতুন চুক্তির প্রস্তাব অনুসারে, গাজায় প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি এবং গাজা থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার কথাও রয়েছে। জানা গেছে, হামাসের এই প্রস্তাবের পর ইসরাইল অবশিষ্ট সব জিম্মির জীবিত থাকার প্রমাণ ও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনার এই নতুন দফা কাতার ও আমেরিকায় মধ্যস্থতায় দোহায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে ইসরায়েল এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আলোচনার আগে দেশটি বলেছিল, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না বা যুদ্ধের অবসানে কোনো প্রতিশ্রুতিও তারা দেবে না। এর আগে, শনিবারই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন গিদিওনস চ্যারিয়ট’ নামে এক নতুন অভিযানের ঘোষণা দেয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৯ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ২ মাসের যুদ্ধবিরতির শর্ত দিল হামাস

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গাজাকে সমতল ভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে হামলার তীব্রতা। একতরফাভাবে আশ্রয় শিবির, হাসপাতাল, জনপদ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে যায়নবাদী বাহিনী। রবিবার ফজরের সময় থেকেই হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী সেনারা। ইতিমধ্যে শহিদ হয়েছেন দেড়শোর বেশি গাজাবাসী।

আল মাওয়াসির তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চলেও নৃশংস হামলা করতে বাদ দিচ্ছে না ইসরাইল। সেখানেই শহিদ হয়েছেন ৫৫ জন। মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় লক্ষ মানুষ আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে না হলে তিলে তিলে মৃত্যুর অপেক্ষা করছে। এরই মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব এনেছে বীরযোদ্ধার দল হামাস।

আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য যুদ্ধবিরতি অব্যাহত: ভারতীয় সেনাবাহিনী

নতুন করে আলোচনার পর গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন চুক্তির অধীনে আরও জিম্মি মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এই প্রস্তাব অনুসারে, গোষ্ঠীটি তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের অর্ধেককে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় নতুন করে বড় ধরনের হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরেই এই আলোচনা শুরু হয়।

আরও পড়ুন: কেন যুদ্ধবিরতি! সবকিছুর ব্যাখ্যা চেয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি রাহুলের

৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস ৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। নতুন চুক্তির প্রস্তাব অনুসারে, গাজায় প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি এবং গাজা থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার কথাও রয়েছে। জানা গেছে, হামাসের এই প্রস্তাবের পর ইসরাইল অবশিষ্ট সব জিম্মির জীবিত থাকার প্রমাণ ও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনার এই নতুন দফা কাতার ও আমেরিকায় মধ্যস্থতায় দোহায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে ইসরায়েল এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আলোচনার আগে দেশটি বলেছিল, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না বা যুদ্ধের অবসানে কোনো প্রতিশ্রুতিও তারা দেবে না। এর আগে, শনিবারই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন গিদিওনস চ্যারিয়ট’ নামে এক নতুন অভিযানের ঘোষণা দেয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।