পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালী জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। পাক গোরা-বারুদে ক্ষতিগ্রস্ত হন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দার। জম্মু-কাশ্মীরে পুঞ্চ এবং রাজরৌরিতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধ দল। এবার পুঞ্চ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। শনিবার সকালে সেখানে পৌঁছোন তিনি। ২২ এপ্রিল পহেলাঁওতে জঙ্গি হামলায় চালায়। ২৫ জন পর্যটক সহ একজন স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনায় নিহত হন। সেই ঘটনার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গেলেন রাহুল।

জঙ্গি হামলায় আহতদের সঙ্গে দেখা করতে ২৫ এপ্রিল শ্রীনগরে যান বিরোধী দলনেতা। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর, মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শনিবার সকালে গান্ধি জম্মু বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। সীমান্তে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি শোকার্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন। ৭ মে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জবাবে  পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পুঞ্চ সেক্টরে পাকিস্তানের কামান ও মর্টার হামলা তীব্র আকার ধারণ করে। ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পাকিস্তানের কামান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় ২৮ জন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ সরকারি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায়।

চার দিনের তীব্র আন্তঃসীমান্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষ-বিরতির ঘোষণা করে। শনিবার, কংগ্রেসের জম্মু ও কাশ্মীর ইউনিটের সভাপতি তারিক হামিদ কারা বলেন, “একটি গুরুদ্বার, একটি মন্দির, একটি মাদ্রাসা এবং একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল সহ গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করবেন রাহুল গান্ধি। তিনি শোকাহত পরিবার এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করবেন।”