০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি এবং ভিসা নীতিতে কোনও বদল নয়, আদালতের রায়ে স্বস্তিতে হার্ভার্ড

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 113

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি ও ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম কড়াকড়ি এখনই চালু করা যাবে না;এই মর্মে অন্তর্র্বতী নির্দেশ দিল আমেরিকার একটি ফেডারেল আদালত। এর ফলে আপাতত স্বস্তিতে হার্ভার্ড এবং সেখানে পড়াশোনা করা বিদেশি পড়ুয়ারা।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন এক নির্দেশিকায় হার্ভার্ডের বিদেশি ছাত্র ভিসা দেওয়ার অনুমোদন বাতিল করে। পাশাপাশি বলা হয়, হার্ভার্ডে বিদেশ থেকে নতুন ছাত্র ভর্তি করাতে হলে ছয়টি শর্ত মানতে হবে, নইলে অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকি, যেসব বিদেশি ছাত্রছাত্রী আগে থেকেই পড়ছে, তাদের এক মাসের মধ্যে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে, নাহলে তাদের ভিসাও বাতিল হয়ে যাবে।

এই ঘোষণার পর হার্ভার্ড আদালতের দ্বারস্থ হয়। হার্ভার্ডের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, কোনও রকম নিয়ম না মেনে এবং পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। তারা দাবি করেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা মতাদর্শ ও ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই কড়া ভাষায় মন্তব্য করেছিলেন।

বিচারক অ্যালিসন বুরোস জানান, এই নীতিতে আপাতত কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না। আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত হার্ভার্ড আগের মতোই বিদেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে পারবে এবং তারা তাদের ভিসা নিয়েও চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আরেকটি মামলায়ও এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্প সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দেন। ফলে সাময়িকভাবে হলেও স্বস্তি পেয়েছে দেশের বহু বিদেশি পড়ুয়া এবং অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে, ইমিগ্রেশন ও শিক্ষা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমেরিকার আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধুই হার্ভার্ডের মামলা নয়;বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে, সরকার কি আদৌ নির্ধারণ করতে পারে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কাকে ভর্তি করবে, কাকে নিয়োগ দেবে বা কী পড়াবে?

আইন বিশেষজ্ঞ আরাম গাভুর বলেছেন, এই মামলা দ্রুতই আপিল আদালত ও সম্ভবত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। এবং এর রায় ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি এবং ভিসা নীতিতে কোনও বদল নয়, আদালতের রায়ে স্বস্তিতে হার্ভার্ড

আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি ও ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম কড়াকড়ি এখনই চালু করা যাবে না;এই মর্মে অন্তর্র্বতী নির্দেশ দিল আমেরিকার একটি ফেডারেল আদালত। এর ফলে আপাতত স্বস্তিতে হার্ভার্ড এবং সেখানে পড়াশোনা করা বিদেশি পড়ুয়ারা।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন এক নির্দেশিকায় হার্ভার্ডের বিদেশি ছাত্র ভিসা দেওয়ার অনুমোদন বাতিল করে। পাশাপাশি বলা হয়, হার্ভার্ডে বিদেশ থেকে নতুন ছাত্র ভর্তি করাতে হলে ছয়টি শর্ত মানতে হবে, নইলে অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকি, যেসব বিদেশি ছাত্রছাত্রী আগে থেকেই পড়ছে, তাদের এক মাসের মধ্যে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে, নাহলে তাদের ভিসাও বাতিল হয়ে যাবে।

এই ঘোষণার পর হার্ভার্ড আদালতের দ্বারস্থ হয়। হার্ভার্ডের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, কোনও রকম নিয়ম না মেনে এবং পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। তারা দাবি করেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা মতাদর্শ ও ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই কড়া ভাষায় মন্তব্য করেছিলেন।

বিচারক অ্যালিসন বুরোস জানান, এই নীতিতে আপাতত কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না। আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত হার্ভার্ড আগের মতোই বিদেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে পারবে এবং তারা তাদের ভিসা নিয়েও চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আরেকটি মামলায়ও এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্প সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দেন। ফলে সাময়িকভাবে হলেও স্বস্তি পেয়েছে দেশের বহু বিদেশি পড়ুয়া এবং অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে, ইমিগ্রেশন ও শিক্ষা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমেরিকার আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধুই হার্ভার্ডের মামলা নয়;বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে, সরকার কি আদৌ নির্ধারণ করতে পারে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কাকে ভর্তি করবে, কাকে নিয়োগ দেবে বা কী পড়াবে?

আইন বিশেষজ্ঞ আরাম গাভুর বলেছেন, এই মামলা দ্রুতই আপিল আদালত ও সম্ভবত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। এবং এর রায় ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।