২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারসাম্য রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার নতুন কৌশল

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 150

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া তাদের দীর্ঘমেয়াদি পারিবারিক পরিকল্পনা কর্মসূচির সফলতা উদযাপন করছে। তবে এখন দেশটির লক্ষ্য জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা ; জন্মহার স্থিতিশীল রাখা এবং তরুণ, উৎপাদনক্ষম জনগোষ্ঠীর ঘাটতি ঠেকানো।

রাষ্ট্রসংঘ জনসংখ্যা তহবিল অনুসারে, ২০২৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭৯.৮ মিলিয়নে(২৭ কোটি ৯৮ লক্ষ )। যদিও এ বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে এসেছে, যা সরকারের জনসংখ্যা ও প্রজনন স্বাস্থ্যনীতি এবং পরিবার উন্নয়ন উদ্যোগের ফলে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উকিক কুসুমা কুরনিয়াওয়ান।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, ১৮ কিলোমিটার ছাই স্তূপ তৈরি হয়

তিনি সম্প্রতি ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পরিবার ফোরামে বলেন, তসংখ্যায় বাড়লেও বৃদ্ধির হার কমেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য, আগামী ২০ বছর ; অর্থাৎ ২০৪৫ পর্যন্ত ; একটি ভারসাম্যপূর্ণ জন্মহার বজায় রাখা।দ বর্তমানে দেশটির মোট প্রজনন হার ২.১, যা একটি স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল’।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

ইন্দোনেশিয়ার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ জনসংখ্যার ঘনত্ব। রাজধানী জাকার্তায় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১৪,০০০ জন, যা শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে বড় বৈষম্য তৈরি করেছে। এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সরকার গ্রহণ করছে একটি তগ্র্যান্ড ডিজাইন অব পপুলেশন ডেভেলপমেন্টদ। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জনসংখ্যা বণ্টনের উন্নয়ন এবং ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ইসরাইলকেও মেনে নেবে ইন্দোনেশিয়া

সরকার পাঁচটি ‘কুইক উইন’ উদ্যোগ চালু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে; পরিবার লালন কর্মসূচি, কমিউনিটি-ভিত্তিক ডে-কেয়ার (কর্মরত মায়েদের সহায়তায়), পিতাদের অংশগ্রহণে উৎসাহ, প্রবীণদের ক্ষমতায়ন এবং একটি তসুপার অ্যাপদ চালু, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পরিবারভিত্তিক সেবা প্রদান করবে।

কুরনিয়াওয়ান আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক পরিবার ফোরামের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে। তিনি তুরস্কের পারিবারিক ও পরিবেশগত উদ্যোগের প্রশংসা করে বিশেষভাবে প্রথম নারী এমিনে এরদোয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘জিরো ওয়েস্ট প্রজেক্ট’-এর কথা উল্লেখ করেন।

এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে জনসংখ্যা ভারসাম্য রক্ষা এখন ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার। সরকার এখন কেবল নিয়ন্ত্রণ নয়, টেকসই উন্নয়নমুখী একটি পরিবার কাঠামো গড়ে তুলতে চায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারসাম্য রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার নতুন কৌশল

আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া তাদের দীর্ঘমেয়াদি পারিবারিক পরিকল্পনা কর্মসূচির সফলতা উদযাপন করছে। তবে এখন দেশটির লক্ষ্য জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা ; জন্মহার স্থিতিশীল রাখা এবং তরুণ, উৎপাদনক্ষম জনগোষ্ঠীর ঘাটতি ঠেকানো।

রাষ্ট্রসংঘ জনসংখ্যা তহবিল অনুসারে, ২০২৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭৯.৮ মিলিয়নে(২৭ কোটি ৯৮ লক্ষ )। যদিও এ বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে এসেছে, যা সরকারের জনসংখ্যা ও প্রজনন স্বাস্থ্যনীতি এবং পরিবার উন্নয়ন উদ্যোগের ফলে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উকিক কুসুমা কুরনিয়াওয়ান।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, ১৮ কিলোমিটার ছাই স্তূপ তৈরি হয়

তিনি সম্প্রতি ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পরিবার ফোরামে বলেন, তসংখ্যায় বাড়লেও বৃদ্ধির হার কমেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য, আগামী ২০ বছর ; অর্থাৎ ২০৪৫ পর্যন্ত ; একটি ভারসাম্যপূর্ণ জন্মহার বজায় রাখা।দ বর্তমানে দেশটির মোট প্রজনন হার ২.১, যা একটি স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় ‘রিপ্লেসমেন্ট লেভেল’।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

ইন্দোনেশিয়ার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ জনসংখ্যার ঘনত্ব। রাজধানী জাকার্তায় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১৪,০০০ জন, যা শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে বড় বৈষম্য তৈরি করেছে। এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সরকার গ্রহণ করছে একটি তগ্র্যান্ড ডিজাইন অব পপুলেশন ডেভেলপমেন্টদ। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জনসংখ্যা বণ্টনের উন্নয়ন এবং ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ইসরাইলকেও মেনে নেবে ইন্দোনেশিয়া

সরকার পাঁচটি ‘কুইক উইন’ উদ্যোগ চালু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে; পরিবার লালন কর্মসূচি, কমিউনিটি-ভিত্তিক ডে-কেয়ার (কর্মরত মায়েদের সহায়তায়), পিতাদের অংশগ্রহণে উৎসাহ, প্রবীণদের ক্ষমতায়ন এবং একটি তসুপার অ্যাপদ চালু, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পরিবারভিত্তিক সেবা প্রদান করবে।

কুরনিয়াওয়ান আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক পরিবার ফোরামের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে। তিনি তুরস্কের পারিবারিক ও পরিবেশগত উদ্যোগের প্রশংসা করে বিশেষভাবে প্রথম নারী এমিনে এরদোয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘জিরো ওয়েস্ট প্রজেক্ট’-এর কথা উল্লেখ করেন।

এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে জনসংখ্যা ভারসাম্য রক্ষা এখন ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার। সরকার এখন কেবল নিয়ন্ত্রণ নয়, টেকসই উন্নয়নমুখী একটি পরিবার কাঠামো গড়ে তুলতে চায়।