০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা: কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য আধিকারিকরা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 57

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা আরও জোরদার করতে যৌথভাবে কাজ করবে কেন্দ্র ও রাজ্য। স্থল সীমান্তে কাঁটাতার এবং জল সীমান্তে ভাসমান আউটপোস্ট করে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হবে।

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সফরের মধ্যেই রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। ভারত এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশের সীমান্ত যাতে আরো কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বন্দোবস্ত করা যায় ,সেই লক্ষ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষকেরা।

আরও পড়ুন: যশোরে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী

ভারত – পাক যুদ্ধের আবহ কাটলেও বাংলার মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। মিলনমেলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি-সহ রাজ্যের শীর্ষকর্তারা।

যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তিন দেশ বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের অবস্থানগত গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। সূত্রের খবর, এদিন আন্তর্জাতিক সুরক্ষার বিষয় নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। কীভাবে রাজ্যের সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ক্ষমতায় রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে দেশটির সাধারণ নাগরিক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছে ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টারা।

প্রসঙ্গত,পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ কাঁটাতারের সীমান্ত রয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব হয়নি ভৌগোলিক কারণে। কোথাও জমি-জটে আটকে রয়েছে। এইসব সমস্যাগুলি দ্রুত কাটিয়ে ফেলা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়।

শুধু স্থলভাগই নয়, জল সীমান্তও কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে, তার পরিকল্পনাও করা হয়। নদীর উপর ভাসমান আউটপোস্ট তৈরির ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য পুলিশও এ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে। সেই মতো জল সীমান্তেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। নিচুতলার কর্মীরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে যেন ওয়াকিবহাল থাকেন, তার জন্য প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হয় রাজ্যকে। আগামীতে সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আরো জোরদার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা: কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য আধিকারিকরা

আপডেট : ২ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা আরও জোরদার করতে যৌথভাবে কাজ করবে কেন্দ্র ও রাজ্য। স্থল সীমান্তে কাঁটাতার এবং জল সীমান্তে ভাসমান আউটপোস্ট করে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হবে।

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সফরের মধ্যেই রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। ভারত এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশের সীমান্ত যাতে আরো কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বন্দোবস্ত করা যায় ,সেই লক্ষ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষকেরা।

আরও পড়ুন: যশোরে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী

ভারত – পাক যুদ্ধের আবহ কাটলেও বাংলার মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। মিলনমেলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি-সহ রাজ্যের শীর্ষকর্তারা।

যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তিন দেশ বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের অবস্থানগত গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। সূত্রের খবর, এদিন আন্তর্জাতিক সুরক্ষার বিষয় নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। কীভাবে রাজ্যের সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ক্ষমতায় রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে দেশটির সাধারণ নাগরিক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছে ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টারা।

প্রসঙ্গত,পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ কাঁটাতারের সীমান্ত রয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব হয়নি ভৌগোলিক কারণে। কোথাও জমি-জটে আটকে রয়েছে। এইসব সমস্যাগুলি দ্রুত কাটিয়ে ফেলা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়।

শুধু স্থলভাগই নয়, জল সীমান্তও কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে, তার পরিকল্পনাও করা হয়। নদীর উপর ভাসমান আউটপোস্ট তৈরির ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য পুলিশও এ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে। সেই মতো জল সীমান্তেও বাড়তি নজর দেওয়া হবে। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। নিচুতলার কর্মীরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে যেন ওয়াকিবহাল থাকেন, তার জন্য প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হয় রাজ্যকে। আগামীতে সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আরো জোরদার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।