০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউপিতে মুশারফ পরিবারের সব জমি হাতবদল

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 122

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের পরিবারের ভারতে যে সম্পত্তি ছিল সবই বিক্রি হয়ে হাতবদল হয়ে গেল। উত্তর প্রদেশের কোটানা গ্রামে মুশারফের পরিবারের ১৩ বিঘার মতো কৃষিজমি ছিল। ওই জমি প্রথমে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর ওই জমি বিক্রির জন্য নিলামের দিনক্ষণ ধার্য করে স্থানীয় বারাউট তহসিলের শত্রু সম্পত্তির জিম্মাদার অফিসের সুপারভাইজার প্রশান্ত সাইনি।

এরপর ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকায় মুশারফের পরিবারের ধানজমি কিনে নেন পঙ্কজ এবং মনোজ গোয়েল নামে দুই ঠিকাদার। গাজিয়াবাদের জে কে স্টিলও কিছুটা জমি কিনেছে। এই হস্তান্তরের পর কোটানায় ভূমি রাজস্ব অফিসের দলিলে মুশারফ পরিবারের নাম মুছে গেল। ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী কোনও শত্রু সম্পত্তি বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তা এক কনসোলিডেটেড তহবিলে জমা করতে হয়। পরে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে চলে যায়।

অথচ এই কোটানায় পারভেজ মুশারফের বাবা মুশারফাউদ্দিন এবং মা বেগম জারিনের শাদি হয়েছিল। তাঁরা এই গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। পরে ১৯৪৩ সালে ওঁরা দিল্লির হাভেলি অঞ্চলে চলে যান। সেখানেই পারভেজ মুশারফ এবং তাঁর ভাই ডা. জাভেদ মুশারফের জন্ম হয়। পরে দেশভাগের সময় মুশারফের পরিবার পাকিস্তানে চলে যান।

পরে প্রেসিডেন্ট হয়ে দিল্লিতে এসে তিনি তাঁর জন্মস্থান হাভেলি ঘুরে দেখে গিয়েছিলেন। এসব কথা তাঁর আত্মজীবনী ‘ ইন দ্য লাইন অফ ফায়ার’-এ লিখেছেন। দু’বছর আগে অসুস্থ হয়ে দুবাইয়ে ইন্তেকাল হয় মুশারফের।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউপিতে মুশারফ পরিবারের সব জমি হাতবদল

আপডেট : ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের পরিবারের ভারতে যে সম্পত্তি ছিল সবই বিক্রি হয়ে হাতবদল হয়ে গেল। উত্তর প্রদেশের কোটানা গ্রামে মুশারফের পরিবারের ১৩ বিঘার মতো কৃষিজমি ছিল। ওই জমি প্রথমে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর ওই জমি বিক্রির জন্য নিলামের দিনক্ষণ ধার্য করে স্থানীয় বারাউট তহসিলের শত্রু সম্পত্তির জিম্মাদার অফিসের সুপারভাইজার প্রশান্ত সাইনি।

এরপর ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকায় মুশারফের পরিবারের ধানজমি কিনে নেন পঙ্কজ এবং মনোজ গোয়েল নামে দুই ঠিকাদার। গাজিয়াবাদের জে কে স্টিলও কিছুটা জমি কিনেছে। এই হস্তান্তরের পর কোটানায় ভূমি রাজস্ব অফিসের দলিলে মুশারফ পরিবারের নাম মুছে গেল। ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী কোনও শত্রু সম্পত্তি বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তা এক কনসোলিডেটেড তহবিলে জমা করতে হয়। পরে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে চলে যায়।

অথচ এই কোটানায় পারভেজ মুশারফের বাবা মুশারফাউদ্দিন এবং মা বেগম জারিনের শাদি হয়েছিল। তাঁরা এই গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। পরে ১৯৪৩ সালে ওঁরা দিল্লির হাভেলি অঞ্চলে চলে যান। সেখানেই পারভেজ মুশারফ এবং তাঁর ভাই ডা. জাভেদ মুশারফের জন্ম হয়। পরে দেশভাগের সময় মুশারফের পরিবার পাকিস্তানে চলে যান।

পরে প্রেসিডেন্ট হয়ে দিল্লিতে এসে তিনি তাঁর জন্মস্থান হাভেলি ঘুরে দেখে গিয়েছিলেন। এসব কথা তাঁর আত্মজীবনী ‘ ইন দ্য লাইন অফ ফায়ার’-এ লিখেছেন। দু’বছর আগে অসুস্থ হয়ে দুবাইয়ে ইন্তেকাল হয় মুশারফের।