ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বে বিপাকে নাসা!

- আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 46
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মার্কিন রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের তিক্ততা এখন চরমে। এই দ্বন্দ্বের জেরে সবচেয়ে বড় বিপাকে পড়তে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। কারণ, আগামী বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এ নভশ্চরদের পাঠাতে নাসা নির্ভর করছিল মাস্কের কোম্পানি স্পেস এক্স-এর উপর।
নাসা এবং স্পেস এক্স -এর মধ্যে যে চুক্তি ছিল, তাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ইলন মাস্কের তৈরি করা ড্রাগন মহাকাশযান ব্যবহার করেই মহাকাশে যেতেন মার্কিন এবং সহযোগী দেশগুলির নভশ্চরেরা। কিন্তু এখন সেই চুক্তি ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, SpaceX ~î‚ Tesla-এর সরকারি ভরতুকি ও চুক্তি বাতিল করার কথা ভাবছে হোয়াইট হাউস। পালটা মাস্কও সামাজিক মাধ্যমে খোঁচা দিয়েছেন ট্রাম্পকে। এমনকী বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে ইমপিচ করা উচিত।
এই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে নাসা-র মহাকাশ অভিযান এখন কার্যত ঝুলে রয়েছে। বিশেষত, গত মার্চে বোয়িং স্টারলাইনারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে আটকে পড়েছিলেন দুই নভশ্চর; সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। তখন তাঁদের উদ্ধার করে আনতে স্পেস এক্স -এর ড্রাগন যানই মুখ্য ভূমিকা নেয়।
অথচ একসময় এই দু’জনের সম্পর্ক ছিল যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। প্রেসিডেন্টের প্রথম মেয়াদে প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে ট্রাম্প মাস্ককে নিয়োগ করেছিলেন সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধান হিসেবে। সেই সময়ই নাসা-র বাজেট কাটছাঁট শুরু হয়।
এখন সেই পুরোনো বন্ধুতা ভেঙে গিয়ে সম্পর্কের জায়গায় দাঁড়িয়েছে রেষারেষি ও প্রতিহিংসা। এর ফল ভুগছে নাসা এবং সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের প্রভাব শুধু আর্থিক চুক্তি নয়, নাসা-র প্রযুক্তিগত নির্ভরতা এবং নিরাপত্তার উপরও বড়সড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।