রথযাত্রার ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে বাড়তি জোর মুখ্যমন্ত্রীর, ২৬-এ দিঘায় মমতা

- আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 140
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর এবারই প্রথম রথ অনুষ্ঠিত হবে দিঘায়। রথ থেকে শুরু করে উলটোরথ বহু সংখ্যক ভক্ত সমাগম হবে দিঘায়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমান প্রায় দু’লাখ ভক্ত সমাগম হতে পারে এবার রথের দিনে।
সেই মতো প্রস্তুতি নিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে প্রায় আড়াই ঘণ্টার ধরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। শীর্ষস্তরের আধিকারিকরাসহ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু প্রমুখ। ইসকনের তরফ থেকে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন রাধারমন দাস।
ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থানের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় প্রশাসন, বিধায়ক মন্ত্রী, দমকল ও পুলিশ সকলকে মিলেমিশে এই উপলক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন দিঘাতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সবাই যাতে রথের দড়ি টানতে মন্দির থেকে মাসিবাড়ি পর্যন্ত পারে সেজন্য পুরো এক কিলোমিটার রাস্তাতেই রথের দড়ি ফেলে রাখতে হবে।
কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দিঘায় পৌঁছনোর পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য ভিআইপিরাও আসতে শুরু করবেন। যান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দিতে হবে এই সময়।
এ দিনের প্রস্তুতি বৈঠকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের ওপর। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে রথ টানার জন্য। রথের দড়ি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাছ-বিচার করা হচ্ছে না। সকলেই রথের দড়ি ছুঁতে পারবেন। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র অলিম্পিয়ার আর সাধুসন্তরাই রথের সামনে থাকবে।
জানা গিয়েছে, রথের দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথম সোনার ঝাড়ুতে রাস্তা ঝাঁট দিয়ে রথ টেনে রথযাত্রার সূচনা করবেন। জগন্নাথ দেব যাবেন মাসির বাড়ি। সেখান থেকে উলটোরথে ফেরত আসবেন বিশেষ মিষ্টি সঙ্গে নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরে আসবেন ২৮ তারিখ।
এ দিন ইসকনের মহারাজ রাধারমন দাস বলেছেন, রথের সময়ে দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ রাতে দিঘায় আসতে পারেন। পুলিশ-প্রশাসন, দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ওপর বাড়তি নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।