মন্দারমণির হোটেল নির্মাণ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট

- আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 58
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানাল, ‘এখনই ভাঙা যাবে না মন্দারমণির কোনও হোটেল’। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হোটেল ভাঙায় অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এই নিয়ে হোটেল মালিকরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলা দায়ের হওয়ায় হোটেল ভাঙার কাজ শুরু হয়নি। এই মামলায় কেন্দ্রের কাছে কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। কিন্তু কেন্দ্রের উত্তরে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।
তারপরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, -’সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে’।কেন্দ্রের কাছে বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, সমুদ্র কোস্টাল রেগুলেশন জোন কত দূর পর্যন্ত স্থায়ী নির্মাণ করা যায় না? আইন মেনে এই এলাকায় হোটেল চালানো সম্ভব কি না? ‘ কিন্তু কেন্দ্রের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। এরপরেই স্পষ্ট হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্দামণির কোনো হোটেল ভাঙা হবে না।জাতীয় পরিবেশ আদালত মন্দারমণিতে সৈকত লাগোয়া এলাকার প্রায় ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল।
তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওই হোটেলগুলি তৈরি হয়েছে। সেগুলো বেআইনিভাবেই চলছে। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে সেগুলোকে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কয়েক জন হোটেল মালিক। সেই মামলার ভিত্তিতেই জেলাশাসকের নির্দেশের উপর অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল, রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। পরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ায় আপাতত হোটেল ভাঙার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। হোটেল মালিকদের করা সেই মামলায় এবার কেন্দ্রের কাছে উত্তর চাইল আদালত। কোনও স্পষ্ট জবাব না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।