১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে ঢোলাহাট মাদারপাড়াতে জনসভা

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আপোষ নয়, সংগ্রাম চলবে: ইলিয়াস

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 74

মোকতার হোসেন মন্ডল:  ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, কোনও আপোষ নয়, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। শনিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঢোলাহাট মাদারপাড়াতে শরীয়ত সংরক্ষণ কমিটির ডাকে আয়োজিত জনসভায় এই মন্তব্য করলেন মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মুখপাত্র সৈয়দ কাশেম রসূল ইলিয়াস।

তিনি বলেন, “এই প্রথম যাদের জন্য আইন আনা হচ্ছে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিজেপি সরকার ওয়াকফ সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আইন এনেছে।” তিনি আরও বলেন,  “এই আইন লাগু হলে দাফন করার জন্য কবরস্থান পাওয়া যাবে না। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ পাওয়া যাবে না।”

আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে জুম্মার নামাজের পর রাজাবাজারে মানব বন্ধন

তাঁর মন্তব্য, “রেল ও আর্মির জমির চেয়ে ওয়াকফের সম্পদ বেশি বলে যে প্রচার করা হয় তা মিথ্যা। পাঁচশো বছর আগে মসজিদের জন্য যে সব দান করা হয়েছে সেটা ওয়াকফ। জমির দলিল, রেকর্ড থাকুক বা না থাকুক একবার যে জমি ওয়াকফ করা হয় সেটা কিয়ামত পর্যন্ত ওয়াকফের জমি থাকে, সেটা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না।”

আরও পড়ুন: ফের পিছোল ওয়াকফ শুনানি, আগামী ২০ মে শুনানি

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আপোষ নয়, সংগ্রাম চলবে: ইলিয়াস

আরও পড়ুন: নয়া ওয়াকফ আইনে গরিব মুসলিমরা অনেক সুবিধা পাবে: মোদি

তিনি আরও বলেন, “সরকারকে এই আইন বাতিল করতেই হবে। যদি এই সরকার বাতিল না করে, পরবর্তী সরকারকে করতে হবে। এই ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের যতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয় করব কিন্তু আমরা আপোষ করব না।”

জামাআতে ইসলামি হিন্দের প্রাক্তন আমির এ হালকা মুহাম্মদ নুরুদ্দিন ওয়াকফ আইন সম্পর্কে সচেতন করেন। এছাড়া এদেশের মুসলিম সমাজ কীভাবে দেশের জন্য আজীবন লড়াই করে তার একাধিক উদাহরণ দেন।

মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, কেউ কেউ বলেছেন তারা নাকি ওয়াকফ সম্পদ বাঁচাবে। তো কেন্দ্রীয় সরকার উমিদ পোর্টাল নিয়ে এসেছে, কই ঠেকাতে পারলেন না? মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয় না। মুসলিমদের সমস্যা মুসলিমদের চেয়ে অন্য লোকে কীভাবে বুঝবে? ওয়াকফ নিয়ে মুসলিমদেরই প্রতিবাদ করতে হবে।

ওয়েলফেয়ার পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা: রইসুদ্দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,’ মুসলিমরা ব্যক্তিগত জমি আল্লাহর নামে যদি দান করে দেয়, সেই সম্পদে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা পরিচালিত হবে শরীয়ত অনুযায়ী। ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিম হতে হবে এটা শর্ত। ইংরেজ আমলের আগে থেকে ওয়াকফ সম্পদ আছে, এতদিন সমস্যা হয়নি, এখন হচ্ছে কেন?

তিনি বলেন, মোদি সরকার ফাঁদে পা দিয়েছে। তারা জানে না ওয়াকফ আইন আনলে কী হবে। মোদি সরকারকে এই আইন বাতিল করতেই হবে। আইনজীবী মোফাক্করুল ইসলাম অন্দোলন চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে ঢোলাহাট মাদারপাড়াতে জনসভা

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আপোষ নয়, সংগ্রাম চলবে: ইলিয়াস

আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার

মোকতার হোসেন মন্ডল:  ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, কোনও আপোষ নয়, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। শনিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঢোলাহাট মাদারপাড়াতে শরীয়ত সংরক্ষণ কমিটির ডাকে আয়োজিত জনসভায় এই মন্তব্য করলেন মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মুখপাত্র সৈয়দ কাশেম রসূল ইলিয়াস।

তিনি বলেন, “এই প্রথম যাদের জন্য আইন আনা হচ্ছে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিজেপি সরকার ওয়াকফ সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আইন এনেছে।” তিনি আরও বলেন,  “এই আইন লাগু হলে দাফন করার জন্য কবরস্থান পাওয়া যাবে না। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ পাওয়া যাবে না।”

আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে জুম্মার নামাজের পর রাজাবাজারে মানব বন্ধন

তাঁর মন্তব্য, “রেল ও আর্মির জমির চেয়ে ওয়াকফের সম্পদ বেশি বলে যে প্রচার করা হয় তা মিথ্যা। পাঁচশো বছর আগে মসজিদের জন্য যে সব দান করা হয়েছে সেটা ওয়াকফ। জমির দলিল, রেকর্ড থাকুক বা না থাকুক একবার যে জমি ওয়াকফ করা হয় সেটা কিয়ামত পর্যন্ত ওয়াকফের জমি থাকে, সেটা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না।”

আরও পড়ুন: ফের পিছোল ওয়াকফ শুনানি, আগামী ২০ মে শুনানি

ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আপোষ নয়, সংগ্রাম চলবে: ইলিয়াস

আরও পড়ুন: নয়া ওয়াকফ আইনে গরিব মুসলিমরা অনেক সুবিধা পাবে: মোদি

তিনি আরও বলেন, “সরকারকে এই আইন বাতিল করতেই হবে। যদি এই সরকার বাতিল না করে, পরবর্তী সরকারকে করতে হবে। এই ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের যতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয় করব কিন্তু আমরা আপোষ করব না।”

জামাআতে ইসলামি হিন্দের প্রাক্তন আমির এ হালকা মুহাম্মদ নুরুদ্দিন ওয়াকফ আইন সম্পর্কে সচেতন করেন। এছাড়া এদেশের মুসলিম সমাজ কীভাবে দেশের জন্য আজীবন লড়াই করে তার একাধিক উদাহরণ দেন।

মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, কেউ কেউ বলেছেন তারা নাকি ওয়াকফ সম্পদ বাঁচাবে। তো কেন্দ্রীয় সরকার উমিদ পোর্টাল নিয়ে এসেছে, কই ঠেকাতে পারলেন না? মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয় না। মুসলিমদের সমস্যা মুসলিমদের চেয়ে অন্য লোকে কীভাবে বুঝবে? ওয়াকফ নিয়ে মুসলিমদেরই প্রতিবাদ করতে হবে।

ওয়েলফেয়ার পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা: রইসুদ্দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,’ মুসলিমরা ব্যক্তিগত জমি আল্লাহর নামে যদি দান করে দেয়, সেই সম্পদে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা পরিচালিত হবে শরীয়ত অনুযায়ী। ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিম হতে হবে এটা শর্ত। ইংরেজ আমলের আগে থেকে ওয়াকফ সম্পদ আছে, এতদিন সমস্যা হয়নি, এখন হচ্ছে কেন?

তিনি বলেন, মোদি সরকার ফাঁদে পা দিয়েছে। তারা জানে না ওয়াকফ আইন আনলে কী হবে। মোদি সরকারকে এই আইন বাতিল করতেই হবে। আইনজীবী মোফাক্করুল ইসলাম অন্দোলন চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন।