শুভ্রজ্যোতি ঘোষ: তিনি যে সচিব হচ্ছেন সেটা কয়েকদিন আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন আর হল না। একাই সচিব পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন টুটু পুত্র সৃঞ্জয় বসু। প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ ছিলেন না। তাই সর্বসম্মতিক্রমেই ফের একবার মোহনবাগান সচিব নির্বাচিত হয়ে গেলেন সৃঞ্জয় বসু।

কার্যত বিনা বাধায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন সৃঞ্জয় বসু। গোটা দুটো মাস ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই লড়ে গিয়েছেন দেবাশিস-সৃঞ্জয়। সঙ্গে তাঁদের দুই গোষ্ঠীও। আর মোহনবাগানের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দলের মধ্যেও একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এমনকি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছিল সিপিএমও।

তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে যাতে কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব না হয়, তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দু’টো পক্ষকে নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করার কথা বলেন। সেই মতোই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এক টেবিলে আসেন দেবাশিস-সৃঞ্জয়।  সেখান থেকেই সচিব-সহ বিভিন্ন পদের জন্য মনোনয় পেশ করেন দুই পক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বীরা।

শনিবার সন্ধেয় নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায় সৃঞ্জয় বসুকে সচিব হিসেবে ঘোষণা করেন। এছাড়াও ১১ জন অন্যান্য কর্মকর্তার নামও ঘোষণা করা হয়েছে। সহ সচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থ সচিব হয়েছেন সুরজিৎ বসু।

মাঠ সচিব পদে নির্বাচিত হলেন শাশ্বত বসু, ফুটবল সচিব হিসেবে রয়ে গেলেন স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রিকেট সচিব হলেন সম্রাট ভৌমিক, হকি সচিব হলেন শ্যামল মিত্র, অ্যাটলেটিক্স সচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন পিন্টু বিশ্বাস, টেনিস সচিব পদে এলেন সিদ্ধার্থ রায়। ক্লাবের প্রাক্তন গোলকিপার শিলটন পাল যুব ফুটবল সচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।