১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ইতিমধ্যে শহর কলকাতায় ৭৭টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন আছে । বিভিন্ন জায়গায় আরও ২১টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন হচ্ছে

কলকাতায় এবার দুয়ারে পানীয় জল, ১০ হাজার কিমি নয়া পাইপ নেটওয়ার্ক

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রতি ঘরে পানীয় জল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অন্যতম লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেই লক্ষ্যেই ব্যাপকভাবে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে পানীয় জলের নতুন পাইপ লাইন পাতার কাজ। যে সমস্ত এলাকায় এখনও পৌঁছয়নি পরিশ্রুত পানীয় জল, সেই সব এলাকায় ২০২৬ সালের মধ্যেই পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পুর বোর্ড । সেই কারণে পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নতুন উৎপাদন কেন্দ্র, বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার তৈরির কাজ চলছে।

পানীয় জল এক্কেবারে নাগরিকদের দুয়ারে পৌঁছে দিতে বসানো হচ্ছে জলের পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক । পরিশোধিত জল উৎপাদনে বাইপাস ও গড়িয়া স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে । এটি প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন গ্যালন পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন করবে । এর ফলে যাদবপুর ও টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকা প্রায় পানীয় জলসংকট মুক্ত হবে বলে আশা করছে কলকাতা পুরনিগম। কারণ এই এলাকা ও বাইপাসের দুই ধারে বিস্তীর্ণ এলাকায় জল পৌঁছে দিতেই ঢালাই ব্রিজের কাছে করা হচ্ছে এই পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র। পাশাপাশি দক্ষিণ ও পূর্ব কলকাতার জলকষ্ট মেটাবে ধাপা জল প্রকল্পের বর্ধিত উৎপাদন কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: পানীয় জলে ‘বিপজ্জনক টক্সিন ননাইলফেনল’! বাড়ছে দূষণের মাত্রা

কলকাতায় ১২ হাজার কিলোমিটার জলের পাইপ লাইনের নেটওয়ার্ক আছে । আরও ১০ হাজার কিলোমিটার করা হচ্ছে । এক নেটওয়ার্কে যাতে জলের চাপ বজায় থাকে, তাই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ২১টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন হচ্ছে । আরও ১৯টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশনের কাজের অর্থ অনুমোদিত হয়েছে । ইতিমধ্যে শহর কলকাতায় ৭৭টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন আছে। বেশ কিছু এলাকায় আগেই যেখানে পানীয় জল পৌঁছেছিল, সেখানে পাইপ লাইন বদলে নতুন লাইন পাতার কাজও হবে। পলতা, ধাপা ও গার্ডেনরিচ-সহ বর্তমানে মোট পাঁচটি পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে কলকাতায়।

আরও পড়ুন: দিনের কোন তিনটে সময় একদম জল খাবেন না, খেলেই কিন্তু নিজের ক্ষতি নিজে ডাকবেন

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাওয়া গিয়েছে। অম্রুত ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খাতে ভালো অংকের টাকা এসেছে কলকাতা পুরনিগমের কোষাগারে। সেই টাকা ব্যবহার করেই নাগরিকদের জল সংকট থেকে মুক্তি দেওয়ার কাজ পুরোদমে শুরু করেছে কর্পোরেশন । একটু সময় লাগলেও এই কাজের সুফল পাবেন লাখ লাখ নাগরিক।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইতিমধ্যে শহর কলকাতায় ৭৭টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন আছে । বিভিন্ন জায়গায় আরও ২১টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন হচ্ছে

কলকাতায় এবার দুয়ারে পানীয় জল, ১০ হাজার কিমি নয়া পাইপ নেটওয়ার্ক

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রতি ঘরে পানীয় জল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অন্যতম লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেই লক্ষ্যেই ব্যাপকভাবে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে পানীয় জলের নতুন পাইপ লাইন পাতার কাজ। যে সমস্ত এলাকায় এখনও পৌঁছয়নি পরিশ্রুত পানীয় জল, সেই সব এলাকায় ২০২৬ সালের মধ্যেই পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পুর বোর্ড । সেই কারণে পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নতুন উৎপাদন কেন্দ্র, বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার তৈরির কাজ চলছে।

পানীয় জল এক্কেবারে নাগরিকদের দুয়ারে পৌঁছে দিতে বসানো হচ্ছে জলের পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক । পরিশোধিত জল উৎপাদনে বাইপাস ও গড়িয়া স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে । এটি প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন গ্যালন পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন করবে । এর ফলে যাদবপুর ও টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকা প্রায় পানীয় জলসংকট মুক্ত হবে বলে আশা করছে কলকাতা পুরনিগম। কারণ এই এলাকা ও বাইপাসের দুই ধারে বিস্তীর্ণ এলাকায় জল পৌঁছে দিতেই ঢালাই ব্রিজের কাছে করা হচ্ছে এই পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র। পাশাপাশি দক্ষিণ ও পূর্ব কলকাতার জলকষ্ট মেটাবে ধাপা জল প্রকল্পের বর্ধিত উৎপাদন কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: পানীয় জলে ‘বিপজ্জনক টক্সিন ননাইলফেনল’! বাড়ছে দূষণের মাত্রা

কলকাতায় ১২ হাজার কিলোমিটার জলের পাইপ লাইনের নেটওয়ার্ক আছে । আরও ১০ হাজার কিলোমিটার করা হচ্ছে । এক নেটওয়ার্কে যাতে জলের চাপ বজায় থাকে, তাই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ২১টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন হচ্ছে । আরও ১৯টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশনের কাজের অর্থ অনুমোদিত হয়েছে । ইতিমধ্যে শহর কলকাতায় ৭৭টি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন আছে। বেশ কিছু এলাকায় আগেই যেখানে পানীয় জল পৌঁছেছিল, সেখানে পাইপ লাইন বদলে নতুন লাইন পাতার কাজও হবে। পলতা, ধাপা ও গার্ডেনরিচ-সহ বর্তমানে মোট পাঁচটি পরিশ্রুত পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে কলকাতায়।

আরও পড়ুন: দিনের কোন তিনটে সময় একদম জল খাবেন না, খেলেই কিন্তু নিজের ক্ষতি নিজে ডাকবেন

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাওয়া গিয়েছে। অম্রুত ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খাতে ভালো অংকের টাকা এসেছে কলকাতা পুরনিগমের কোষাগারে। সেই টাকা ব্যবহার করেই নাগরিকদের জল সংকট থেকে মুক্তি দেওয়ার কাজ পুরোদমে শুরু করেছে কর্পোরেশন । একটু সময় লাগলেও এই কাজের সুফল পাবেন লাখ লাখ নাগরিক।