১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ’ সতর্কবার্তা দিল ইরান, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে নতুন মোড়

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 55

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ইরান হুঁশিয়ারি দিল, ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে, তবে তা পুরো অঞ্চলে “পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ” ডেকে আনবে। বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও রকমের হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের রসদ জোগাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তারা জানে, ইসরায়েল অন্য দেশগুলোকে এই যুদ্ধে টেনে আনতে চাইছে। আমরা নিশ্চিত, আমাদের আরব প্রতিবেশীরা, যাদের দেশে মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে, তারা কখনওই তাদের ভূমি মুসলিম প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।”

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং ইউএসএস নিমিটজ বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রথমে ইসরায়েলি হামলা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন, পরে জানান তিনি “কেবল যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু” চান।

আরও পড়ুন: ইরানের পালটা হামলাকে বৈধ বললেন এরদোগান, নেতানিয়াহুকে তুলনা করলেন হিটলারের সঙ্গে

মঙ্গলবার ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’” প্রয়োজন। এমনকি তিনি হুমকি দেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেইকে হত্যা করাও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সহজ।

আরও পড়ুন: ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

“আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। তবে এখনই আমরা তাঁকে হত্যা করবো না,” Truth Social-এ লিখেছেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ শুরু করেনি ইরান, প্রতিক্রিয়া ছিল আত্মরক্ষামূলক ও সীমিত’: রাষ্ট্রসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত

এর উত্তরে খামেনেই বলেন, “এই জাতি কখনও আত্মসমর্পণ করবে না। যদি যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তবে তারা এমন ক্ষতির সম্মুখীন হবে যা অপূরণীয়।”

ইরানের জাতিসংঘ দূত আলি বাহরাইনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের জনগণ, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ড রক্ষায় বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবো না। ইসরায়েলি হামলার জবাব কঠোর ও সীমাহীন হবে।”

এদিকে ইসরায়েল জানায়, বুধবার ভোরে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ইরান থেকে দুটি মিসাইল ব্যারেজ ছোঁড়া হয়েছে। তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া অন্তত ১০টি ড্রোন মাঝপথেই প্রতিহত করেছে।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) জানায়, তারা “Fattah-1 হাইপারসনিক মিসাইল” ব্যবহার করে তেল আবিবে “নিরবিচারে কাঁপন ধরিয়েছে”।

“Operation Honest Promise 3”-এর ১১তম ধাপে এই হামলা হয়েছে বলে জানায় IRGC। এই মিসাইলগুলি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিতে চলে, মাঝপথে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে, ফলে এগুলো ট্র্যাক করা কঠিন।

জর্ডান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানান, ইরানি হামলায় মধ্য ও উত্তর ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৯৪ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন। বেশ কিছু জায়গায় আগুন ও ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার ইসরায়েল দাবি করে, তারা তেহরানে সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে বাধা দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) নিশ্চিত করেছে, তেহরান ও কারাজে অবস্থিত দুটি সেন্ট্রিফিউজ প্রস্তুত কারখানায় হামলা হয়েছে। তেহরানে অ্যাডভান্সড রোটর তৈরি কেন্দ্রে একটি ভবন এবং কারাজে দুটি ভবন ধ্বংস হয়েছে।

তেহরান থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক তোহিদ আসাদি জানিয়েছেন, রাতভর বিস্ফোরণের শব্দে শহর কেঁপে উঠেছে। পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় তেহরান শহরের কয়েক লাখ বাসিন্দা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে এখনও বহু মানুষ রয়েছেন এবং তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম IRIB জানিয়েছে, ইরানি বাহিনী ইসফাহানে একটি ইসরায়েলি হারমেস ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এছাড়া IRNA জানিয়েছে, ভারামিন শহরের জাভাদাবাদ এলাকায় একটি ইসরায়েলি F-35 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে।

এ সংঘাত নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইরানে বসবাসরত ৭০০-এর বেশি বিদেশি নাগরিক আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ায় পালিয়ে গিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ইরান ও ইসরায়েল থেকে ৭০০-র বেশি নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক একটি ইরানি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৩৯ জন বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ইরানি হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ’ সতর্কবার্তা দিল ইরান, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে নতুন মোড়

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ইরান হুঁশিয়ারি দিল, ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে, তবে তা পুরো অঞ্চলে “পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ” ডেকে আনবে। বুধবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও রকমের হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের রসদ জোগাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তারা জানে, ইসরায়েল অন্য দেশগুলোকে এই যুদ্ধে টেনে আনতে চাইছে। আমরা নিশ্চিত, আমাদের আরব প্রতিবেশীরা, যাদের দেশে মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে, তারা কখনওই তাদের ভূমি মুসলিম প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।”

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং ইউএসএস নিমিটজ বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রথমে ইসরায়েলি হামলা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন, পরে জানান তিনি “কেবল যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু” চান।

আরও পড়ুন: ইরানের পালটা হামলাকে বৈধ বললেন এরদোগান, নেতানিয়াহুকে তুলনা করলেন হিটলারের সঙ্গে

মঙ্গলবার ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’” প্রয়োজন। এমনকি তিনি হুমকি দেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেইকে হত্যা করাও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সহজ।

আরও পড়ুন: ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

“আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু। তবে এখনই আমরা তাঁকে হত্যা করবো না,” Truth Social-এ লিখেছেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ শুরু করেনি ইরান, প্রতিক্রিয়া ছিল আত্মরক্ষামূলক ও সীমিত’: রাষ্ট্রসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত

এর উত্তরে খামেনেই বলেন, “এই জাতি কখনও আত্মসমর্পণ করবে না। যদি যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তবে তারা এমন ক্ষতির সম্মুখীন হবে যা অপূরণীয়।”

ইরানের জাতিসংঘ দূত আলি বাহরাইনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের জনগণ, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ড রক্ষায় বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবো না। ইসরায়েলি হামলার জবাব কঠোর ও সীমাহীন হবে।”

এদিকে ইসরায়েল জানায়, বুধবার ভোরে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ইরান থেকে দুটি মিসাইল ব্যারেজ ছোঁড়া হয়েছে। তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া অন্তত ১০টি ড্রোন মাঝপথেই প্রতিহত করেছে।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) জানায়, তারা “Fattah-1 হাইপারসনিক মিসাইল” ব্যবহার করে তেল আবিবে “নিরবিচারে কাঁপন ধরিয়েছে”।

“Operation Honest Promise 3”-এর ১১তম ধাপে এই হামলা হয়েছে বলে জানায় IRGC। এই মিসাইলগুলি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিতে চলে, মাঝপথে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে, ফলে এগুলো ট্র্যাক করা কঠিন।

জর্ডান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানান, ইরানি হামলায় মধ্য ও উত্তর ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৯৪ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন। বেশ কিছু জায়গায় আগুন ও ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার ইসরায়েল দাবি করে, তারা তেহরানে সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে বাধা দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) নিশ্চিত করেছে, তেহরান ও কারাজে অবস্থিত দুটি সেন্ট্রিফিউজ প্রস্তুত কারখানায় হামলা হয়েছে। তেহরানে অ্যাডভান্সড রোটর তৈরি কেন্দ্রে একটি ভবন এবং কারাজে দুটি ভবন ধ্বংস হয়েছে।

তেহরান থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক তোহিদ আসাদি জানিয়েছেন, রাতভর বিস্ফোরণের শব্দে শহর কেঁপে উঠেছে। পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় তেহরান শহরের কয়েক লাখ বাসিন্দা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে এখনও বহু মানুষ রয়েছেন এবং তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম IRIB জানিয়েছে, ইরানি বাহিনী ইসফাহানে একটি ইসরায়েলি হারমেস ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এছাড়া IRNA জানিয়েছে, ভারামিন শহরের জাভাদাবাদ এলাকায় একটি ইসরায়েলি F-35 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে।

এ সংঘাত নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলি হামলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইরানে বসবাসরত ৭০০-এর বেশি বিদেশি নাগরিক আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ায় পালিয়ে গিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ইরান ও ইসরায়েল থেকে ৭০০-র বেশি নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক একটি ইরানি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৩৯ জন বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ইরানি হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।