১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরফ গলল, কানাডা-ভারত ফের দূত বিনিময়, মোদি- কার্নি কথা সফল

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 235

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু-দেশেই ফের হাই কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডায় একদল শিখ ভারত বিরোধী প্রতিবাদ মিছিল বার করে, বিক্ষোভ দেখায়।

খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর সেই সময়ে খুন হয়েছিলেন। তখনকার কানাডা সরকারও ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, ভারতের এজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। তাতে ভারত সরকার প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে দিল্লির কানাডার দূতকে দেশে ফিরে যেতে বলে এবং কানাডা থেকে ভারতীয় দূতকে চলে আসতে বলে। সেই অবনতি হওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের মোদি এবং কার্নির আলোচনার মাধ্যমে নতুন মাত্রা পেল।

জি-৭ গোষ্ঠী বৈঠকের পাশাপাশি এই বৈঠক হয় দুই নেতার। এ দিনের বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দুদেশই ফের হাই কমিশনার বিনিময় করবে। এ ছাড়া বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দু-দেশই ফের মন্ত্রী এবং পদস্থ অফিসার পর্যায়ে বৈঠক শুরু করবে। এর আগে দু-দেশই আর্লি প্রগ্রেস ট্রেড এগ্রিমেন্ট করার ব্যাপারে অনেকটা এগিয়েও পিছিয়ে এসেছিল। তা শিগগির শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

এই চুক্তির পথ ধরেই হবে সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি। দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ, ডিজিটাল রূপান্তর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, খাদ্য সুরক্ষা, এল এন জি, খনিজ পদার্থ, উচ্চশিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

এই বৈঠকের সাফল্য প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেমন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন যে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে দুর্দান্ত বৈঠক হল। আমরা আমাদের বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তেমনই কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ কথা হয়েছে। দুদেশের বন্ধন মজবুত করতে আমরা কাজ করে যাব। আর কোনও বিরোধ নয়।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

কানাডা বিবৃতিতে বলেছে, সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডের সংহতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কানাডা এবং ভারত পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করে যাবে। ভারতও জানিয়েছে, কানাডায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হল এবং তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। দু-দেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ইতিহাস আরও উজ্জ্বল হবে। কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত ছিল বলে এবার জি-৭ বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না তা নিয়েই নানা জল্পনা ছিল।

পরে অবশ্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীই ফোন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। এর আগে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়। ট্রুডো লিবারেল পার্টির নেতা ছিলেন। এখনকার প্রধানমন্ত্রী কার্নিও লিবারেল পার্টিরই নেতা। তবে অর্থনীতিবিদ কার্নি সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চলতে চান, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বরফ গলল, কানাডা-ভারত ফের দূত বিনিময়, মোদি- কার্নি কথা সফল

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু-দেশেই ফের হাই কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডায় একদল শিখ ভারত বিরোধী প্রতিবাদ মিছিল বার করে, বিক্ষোভ দেখায়।

খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর সেই সময়ে খুন হয়েছিলেন। তখনকার কানাডা সরকারও ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, ভারতের এজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। তাতে ভারত সরকার প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে দিল্লির কানাডার দূতকে দেশে ফিরে যেতে বলে এবং কানাডা থেকে ভারতীয় দূতকে চলে আসতে বলে। সেই অবনতি হওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক ফের মোদি এবং কার্নির আলোচনার মাধ্যমে নতুন মাত্রা পেল।

জি-৭ গোষ্ঠী বৈঠকের পাশাপাশি এই বৈঠক হয় দুই নেতার। এ দিনের বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দুদেশই ফের হাই কমিশনার বিনিময় করবে। এ ছাড়া বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দু-দেশই ফের মন্ত্রী এবং পদস্থ অফিসার পর্যায়ে বৈঠক শুরু করবে। এর আগে দু-দেশই আর্লি প্রগ্রেস ট্রেড এগ্রিমেন্ট করার ব্যাপারে অনেকটা এগিয়েও পিছিয়ে এসেছিল। তা শিগগির শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

এই চুক্তির পথ ধরেই হবে সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি। দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ, ডিজিটাল রূপান্তর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, খাদ্য সুরক্ষা, এল এন জি, খনিজ পদার্থ, উচ্চশিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

এই বৈঠকের সাফল্য প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেমন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন যে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে দুর্দান্ত বৈঠক হল। আমরা আমাদের বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তেমনই কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ কথা হয়েছে। দুদেশের বন্ধন মজবুত করতে আমরা কাজ করে যাব। আর কোনও বিরোধ নয়।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

কানাডা বিবৃতিতে বলেছে, সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডের সংহতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কানাডা এবং ভারত পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করে যাবে। ভারতও জানিয়েছে, কানাডায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হল এবং তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। দু-দেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ইতিহাস আরও উজ্জ্বল হবে। কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত ছিল বলে এবার জি-৭ বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না তা নিয়েই নানা জল্পনা ছিল।

পরে অবশ্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীই ফোন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। এর আগে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়। ট্রুডো লিবারেল পার্টির নেতা ছিলেন। এখনকার প্রধানমন্ত্রী কার্নিও লিবারেল পার্টিরই নেতা। তবে অর্থনীতিবিদ কার্নি সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চলতে চান, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল।