নেলং-এ প্রথম দেখা মিলল বিরল বাদামি ভালুক, এলাকায় চাঞ্চল্য

- আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 29
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাদামী ভল্লুক দর্শন! নেলং-এর গঙ্গোত্রী জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির বাদামি ভালুক। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নেলং এবং ভৈরনের দুমকা অঞ্চলে বনকর্মীরা প্রথম এই ভালুক দেখতে পান।
চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চল গোমুখ, তপোবন, কেদারতাল, নেলাং এবং জাদুং বিরল বন্যপ্রাণীদের আবাস্থল। তুষারচিতা, বাদামি ভালুক, ভরাল (নীল ভেড়া) এবং লাল শিয়ালের মতো বিরল প্রাণীদের এখানে দেখতে পাওয়া যায়। গঙ্গোত্রী, হারসিল এবং ভৈরনে তুষার চিতা এবং ভরাল প্রায়শই দেখা যায় বলে খবর।
বাদামি ভালুক সাধারণত তিন হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় থাকতে পছন্দ করে। এর আগে বনকর্মীরা গোমুখে ছয়টি এবং কেদারতালে তিনটি বাদামি ভালুক দেখতে পেয়েছিলেন। তবে বর্তমানে বাদামি ভালুকটিকে বনকর্মীরা নেলা এবং ভৈরনে টহল দেওয়ার প্রথম সময় দেখতে পান।
বনকর্মী রাজবীর রাওয়াত জানিয়েছেন, “যদিও গোমুখ এবং কেদারতালে বাদামি ভালুক একাধিকবার দেখা গেছে। তবে নেলাং এবং জাদুংয়ের বাদামি ভালুক দেখতে পাওয়া এক বিরল ঘটনা।”
গঙ্গোত্রী জাতীয় উদ্যানের প্রাক্তন উপ-পরিচালক এবং ডব্লুআইআই-এর বন্যপ্রাণী ম্যানেজার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত রঙ্গনাথ পাণ্ডে বলেন”উত্তরাখণ্ড একটি ভাগ্যবান রাজ্য।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী চার ধরনের ভালুক পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিন ধরনের ভালুক উত্তরাখণ্ডে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বাদামি ভালুক সাধারণত ২,৮০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় থাকে। প্রধানত তুষারাবৃত অঞ্চল এবং আলপাইন তৃণভূমিতে এদের বাস।” রঙ্গনাথ পাণ্ডে ভালুকদের অভিযোজন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছন,” বাদামি ভালুক সর্বভুক। সে কারণে, তারা শিকড়, বাদাম, বেরি, মাছ এবং এমনকি ছোট প্রাণীও খায়। এই বৈচিত্র্যময় খাদ্য বাদামি ভালুকের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে।”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “বরফের আচ্ছাদনের পরিবর্তন এবং কমে যাওয়া এই ভালুকগুলির আবাসস্থলকে প্রভাবিত করেছে। যার ফলে তাদের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।” তিনি ভালুক সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে বলেছেন,”তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – খাদ্য, আশ্রয় এবং জল – বাদামি ভালুকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বেঁচে থাকার জন্যই নয় বরং সফল প্রজনন এবং শিকারীদের হাত থেকে ভালুকের বাচ্চাদের রক্ষা করার জন্যও দরকার।” একটি প্রাপ্তবয়স্ক বাদামি ভালুকের ওজন ৯০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এরা সাধারণত মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে যায় না।