০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও প্রমাণ নেই, জনগণ নিরাপদ, তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর জানাল ইরান

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 314

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালানোর পর প্রথম সরকারিভাবে জানালো তেহরান। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোরডো, ইসফাহান ও নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বা দূষণের প্রমাণ মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কোনও স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি।

 

ইরানের ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফটি সিস্টেম সেন্টার জানিয়েছে, হামলার পরপরই আক্রান্ত অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও ফিল্ড সার্ভে চালানো হয়। ইরান বলছে, “রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং গ্রাউন্ড সমীক্ষায় দেখা গেছে—কোথাও কোনও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি। নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল।”

আরও পড়ুন: ইরানের ওপর ফের রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

 

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

শুধু ইরান নয়, সৌদি আরবের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও জানিয়েছে, এই হামলার ফলে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা ও ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে হবে: ইরান 

 

তেহরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলেই মনে করছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা আরও জানিয়েছে, “এই হামলা আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক মহল এই বেআইনি আগ্রাসনের প্রতিবাদ করবে এবং ইরানকে তার বৈধ অধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করবে বলে আমরা আশাবাদী।”

 

ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই হামলার মাধ্যমে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না। বরং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও প্রমাণ নেই, জনগণ নিরাপদ, তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলার পর জানাল ইরান

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালানোর পর প্রথম সরকারিভাবে জানালো তেহরান। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোরডো, ইসফাহান ও নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বা দূষণের প্রমাণ মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কোনও স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি।

 

ইরানের ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফটি সিস্টেম সেন্টার জানিয়েছে, হামলার পরপরই আক্রান্ত অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও ফিল্ড সার্ভে চালানো হয়। ইরান বলছে, “রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং গ্রাউন্ড সমীক্ষায় দেখা গেছে—কোথাও কোনও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি। নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল।”

আরও পড়ুন: ইরানের ওপর ফের রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

 

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

শুধু ইরান নয়, সৌদি আরবের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও জানিয়েছে, এই হামলার ফলে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা ও ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে হবে: ইরান 

 

তেহরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলেই মনে করছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা আরও জানিয়েছে, “এই হামলা আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক মহল এই বেআইনি আগ্রাসনের প্রতিবাদ করবে এবং ইরানকে তার বৈধ অধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করবে বলে আমরা আশাবাদী।”

 

ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই হামলার মাধ্যমে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না। বরং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।