অসমজুড়ে গোমাংস বিরোধী অভিযান, আটক ১৩৩ জন

- আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 33
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অসমজুড়ে গোমাংস বিরোধী অভিযান। আটক ১৩৩। নিন্দার ঝড়। অসমে দুগ্ধ প্রকল্পের অর্থ মন্ত্রী-বিধায়কদের আত্মসাৎের খবরের জেরে গরু চোর গ্রেফতারের দাবি তুলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর আন্দোলনও শুরু হয়েছে। ঠিক এই সময়ে গরু চোরদের আড়াল করতে গোমাংস বিক্রির অভিযোগ তুলে হোটেল ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় শুরু করেছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার পুলিশ। গরু চুরির বদলে কুরবানি-গোমাংস ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে প্রচার চালাতে সোমবার সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত।
তাঁর এই মন্তব্যের পরদিনই হোটেলে হোটেলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর থেকে প্রায় প্রতিটি জেলায় বেছে বেছে মুসলিম মালিকাধীন হোটেলে অভিযান চালায় অসম পুলিশ। রাজ্য পুলিশের আজিপি (আইন-শৃঙ্খলা) অখিলেশ কুমার সিং জানান, রাজ্যের গোসুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করে কিছু হোটেলে গোমাংস বিক্রি হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ১১২টি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে গোমাংস উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন হোটেলের কর্মচারী।এদিকে, হোটেলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারির নিন্দার ঝড় উঠেছে। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার গুয়াহাটি-সহ মঙ্গলদৈ, ছয়গাঁও, কোকড়াঝাড়,রূপহী, ডিব্রুগড়, শিবসাগরে গোমাংস বিক্রি করা হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুয়াহাটির বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ৭০ কিলোর বেশি গোমাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোমাংস বিক্রি করা কিছু দোকান, কসাইখানাতেও অভিযান চালায় পুলিশষ বেশকিছু দোকানে পুলিশ তালাও ঝুলিয়ে দেয়। কোনও মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরু জবেহ, গোমাংস বিক্রি ও খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে আইন এনেছে অসম সরকার। বিরোধীরা বলছেন, অসমে এমন কোনও জায়গা আছে কি, যেখানে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই? এটা সরকারের একটা প্রহসন মাত্র।