৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্ম শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি কি মহিলা! নাড্ডার উত্তরসূরির দৌড়ে তিন বিজেপি নেত্রী

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 102

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পদ্ম শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন? জেপি নাড্ডার উত্তরসূরিই বা কে? এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নাড্ডার উত্তরসূরি নিয়ে পদ্ম শিবিরের মধ্যেও চলছে গুঞ্জন। তবে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কোনও পুরুষ নয়, হতে পারেন মহিলা।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিজেপির মহিলা মন্ত্রী ও নেত্রীর নাম ভাসছে রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার লাইভ হিন্দুস্তানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথম ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের জাতীয় সভাপতি হিসেবে মহিলাকে বেছে নিতে পারে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি নাম সামনে এসেছে।

প্রথম মহিলা জাতীয় সভাপতি নিয়োগের পথে এগিয়ে যেতে পারে। সর্বভারতীয় সভাপতি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন প্রধান ডি পুরন্দেশ্বরী এবং তামিলনাড়ুর বিধায়ক বনথি শ্রীনিবাসন। এই তিনজনের মধ্যে একজন জাতীয় সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন। জাতীয় সভাপতি পদে মহিলাকে নিয়োগ করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)।

আরও পড়ুন: ফের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন নাড্ডা, ঘোষণা অমিত শাহের

বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। তাঁর সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। লোকসভা নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নাড্ডার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতদিনেও নতুন সভাপতি কে হবেন! তা ঠিক করতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

তবে এবার নতুন জাতীয় সভাপতি নিয়োগের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পদ্ম মহলে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলেরও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে কেনো মহিলা সভাপতি নিয়োগের কথা ভাবছে বিজেপি! এই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মহিলা ভোটাররা বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। বেশকিছু রাজ্যে মহিলা ভোটাররাই পদ্ম শিবিরের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনগুলিকে পাখির চোখ করে মহিলা ভোটারদেরই হাঁতিয়ার করতে মহিলা সভাপতি নিয়োগের কথা ভাবছে মোদি-শাহরা।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পদ্ম শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি কি মহিলা! নাড্ডার উত্তরসূরির দৌড়ে তিন বিজেপি নেত্রী

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পদ্ম শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন? জেপি নাড্ডার উত্তরসূরিই বা কে? এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নাড্ডার উত্তরসূরি নিয়ে পদ্ম শিবিরের মধ্যেও চলছে গুঞ্জন। তবে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কোনও পুরুষ নয়, হতে পারেন মহিলা।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিজেপির মহিলা মন্ত্রী ও নেত্রীর নাম ভাসছে রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার লাইভ হিন্দুস্তানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথম ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের জাতীয় সভাপতি হিসেবে মহিলাকে বেছে নিতে পারে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি নাম সামনে এসেছে।

প্রথম মহিলা জাতীয় সভাপতি নিয়োগের পথে এগিয়ে যেতে পারে। সর্বভারতীয় সভাপতি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন প্রধান ডি পুরন্দেশ্বরী এবং তামিলনাড়ুর বিধায়ক বনথি শ্রীনিবাসন। এই তিনজনের মধ্যে একজন জাতীয় সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন। জাতীয় সভাপতি পদে মহিলাকে নিয়োগ করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)।

আরও পড়ুন: ফের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন নাড্ডা, ঘোষণা অমিত শাহের

বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। তাঁর সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। লোকসভা নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নাড্ডার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এতদিনেও নতুন সভাপতি কে হবেন! তা ঠিক করতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

তবে এবার নতুন জাতীয় সভাপতি নিয়োগের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পদ্ম মহলে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলেরও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে কেনো মহিলা সভাপতি নিয়োগের কথা ভাবছে বিজেপি! এই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মহিলা ভোটাররা বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। বেশকিছু রাজ্যে মহিলা ভোটাররাই পদ্ম শিবিরের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনগুলিকে পাখির চোখ করে মহিলা ভোটারদেরই হাঁতিয়ার করতে মহিলা সভাপতি নিয়োগের কথা ভাবছে মোদি-শাহরা।