১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপনির্বাচনে জয়ী হতেই পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু, কালীপুজোর পরেই হতে পারে পুরভোট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 21

পুবের কলম প্রতিবেদক: উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হতেই পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল শাসক দল। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই হতে পারে পুরনির্বাচন। তবে পুরনির্বাচন যবেই হোক না কেন, এই নির্বাচনেও তাঁদের জয় হবে বলে একশো শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল।


সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট হতে পারে ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন ভোট হলে ফল প্রকাশ হবে ২২ ডিসেম্বর। এরপর ধাপে ধাপে হবে ১১০টি পুরসভার নির্বাচন। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠাতে চলেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে। তারপর তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন: রবিবার পুরভোটের দিন ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস


জানা যাচ্ছে, ভাইফোঁটার পরই জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। অবশ্য নবগঠিত ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটা পুরসভায় এই ১১২টি পুরসভার সঙ্গে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নবান্ন।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত আসানসোলের পুরভোটঃ মাথা ফাটল প্রার্থীর,  চলল গুলি, উঠল বুথ দখলের অভিযোগ


পুরভোট প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুরনির্বাচনেই জন্য প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল। মানুষের সমর্থন রয়েছে।
এরপরেই বিজেপি কটাক্ষ করে তিনি বলে, “৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখিয়ে ভোট করানো যায় না। তার জন্য মানুষের সামনে মাথা নত করতে হয়। তৃণমূল সব সময় জনগণের কাছে মাথা নত করে থাকে। তাই জিত আমাদেরই হবে।”

আরও পড়ুন: বিধাননগরের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কিনা ঠিক করবে কমিশন, রায় কোর্টের


এদিকে প্রত্যেকবারের মতো এবারেও পুরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, প্রতিটি পুরসভায় অবাধ ও শান্তিপূর্র্ণ ভোট করাতেই এই দাবি।


এবিষয়ে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এর আগে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিজেপিই প্রশ্ন তুলেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। তাহলে তো তখনই অমিত শাহর রিজাইন দেওয়া উচিত ছিল আগে।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উপনির্বাচনে জয়ী হতেই পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু, কালীপুজোর পরেই হতে পারে পুরভোট

আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হতেই পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল শাসক দল। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই হতে পারে পুরনির্বাচন। তবে পুরনির্বাচন যবেই হোক না কেন, এই নির্বাচনেও তাঁদের জয় হবে বলে একশো শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল।


সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট হতে পারে ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন ভোট হলে ফল প্রকাশ হবে ২২ ডিসেম্বর। এরপর ধাপে ধাপে হবে ১১০টি পুরসভার নির্বাচন। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠাতে চলেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে। তারপর তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন: রবিবার পুরভোটের দিন ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস


জানা যাচ্ছে, ভাইফোঁটার পরই জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। অবশ্য নবগঠিত ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটা পুরসভায় এই ১১২টি পুরসভার সঙ্গে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নবান্ন।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত আসানসোলের পুরভোটঃ মাথা ফাটল প্রার্থীর,  চলল গুলি, উঠল বুথ দখলের অভিযোগ


পুরভোট প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুরনির্বাচনেই জন্য প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল। মানুষের সমর্থন রয়েছে।
এরপরেই বিজেপি কটাক্ষ করে তিনি বলে, “৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখিয়ে ভোট করানো যায় না। তার জন্য মানুষের সামনে মাথা নত করতে হয়। তৃণমূল সব সময় জনগণের কাছে মাথা নত করে থাকে। তাই জিত আমাদেরই হবে।”

আরও পড়ুন: বিধাননগরের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কিনা ঠিক করবে কমিশন, রায় কোর্টের


এদিকে প্রত্যেকবারের মতো এবারেও পুরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, প্রতিটি পুরসভায় অবাধ ও শান্তিপূর্র্ণ ভোট করাতেই এই দাবি।


এবিষয়ে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এর আগে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিজেপিই প্রশ্ন তুলেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। তাহলে তো তখনই অমিত শাহর রিজাইন দেওয়া উচিত ছিল আগে।”