পহেলগাঁও খুনিরা চিহ্নিত, শীঘ্রই নিকেশ, বললেন উপরাজ্যপাল

- আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 145
নয়াদিল্লি, ১৭ জুলাই : জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও তে যে জঙ্গিরা ২৬ জনকে খুন করেছিল, সেই জঙ্গিদের সনাক্ত করে ফেলেছে ভারতের সেনাবাহিনী এবং শীঘ্রই তাদের নিকেশ করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন সেখানকার উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল হিসেবে তাঁর ৫ বছর কাটানোর সম্মানে দিল্লিতে গান্ধী স্মৃতি সমিতিতে এক অনুষ্ঠানে ভাষণে মনোজ সিনহা এই কথা বলেন। পহেলগাঁও এর ঘটনার পর থেকেই সারা দেশের মানুষের এই প্রশ্ন ছিল যে, যারা এই নৃশংস গণহত্যা ঘটাল তারা কোথায় গেল? তাদের ধরতে কেন ব্যর্থ হল দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন? তারই যেন জবাব দিয়ে দিলেন শ্রীসিনহা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, যখন জঙ্গিদের চিহ্নিত করাই সম্ভব হয়েছে তাদের গ্রেফতার করলে তো অনেক ভিতরের খবর পাওয়া যেত। তাদের প্রথমেই নিকেশ করার কথা বললেন কেন উপরাজ্যপাল? তিনি বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি, ব্যবসা-বাণিজ্য ভেস্তে দিতে এবং রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে পাকিস্তান এই কাজ করিয়েছে, যাতে ওরা আবার ওই রাজ্য থেকে জঙ্গি সংগ্রহ করতে পারে।
কিন্তু তা আর পারবে না পাকিস্তান। এবার কাশ্মীরের মানুষ পথে নেমে বুঝিয়ে দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের উৎপাতে তাঁরা কতটা হতাশ। দুদিন আগেই উপরাজ্যপাল বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণেই পহেলগাঁও এর ঘটনা ঘটেছে। তিনি এই ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন। পাকিস্তানের মুণ্ডপাত করে তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী একসময় বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি রক্ষায় হিংসা এবং ভীরুতার মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলা হলে তিনি হিংসাকেই বেছে নেবেন। জম্মু-কাশ্মীরের উন্নতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই রাজ্যের অর্থনীতি দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। যে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্ক ১৩০০ কোটি টাকা লোকসানে চলছিল, সেই ব্যাঙ্ক এখন ১৭০০ কোটি টাকা লাভে চলছে। গত বছর ২ কোটি ৩৮ লক্ষের মতো পর্যটক গিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরে। ৫০০০ নতুন হোটেল তৈরি হয়েছে। সারা রাজ্যে দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সড়ক তৈরি হচ্ছে। বুরহান ওয়ানির গ্রামে সম্প্রতি তিরঙ্গা যাত্রা হয়েছে। আর কেউ পাথর ছোঁড়ে না। গুলি চলে না। রাতে মানুষ পথে বের হয়। বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে। গত বছরে পাকিস্তান ৬ জনকে জঙ্গি দলে টানতে পেরেছিল। এ বছর মাত্র একজনকে পেরেছে।