১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৫ বছর পর আত্মসমর্পণ প্রবীণ মাওবাদী দম্পতির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 42

মারুফা খাতুন: ৪৫ বছর পর আত্মসমর্পণ প্রবীণ মাওবাদী দম্পতির। সাফল্য তেলেঙ্গানা পুলিশের। বৃহস্পতিবার মালা সঞ্জীব ওরফে লেঙ্গু দাদা এবং তার স্ত্রী পেরুগালা তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। উভয়ের মাথার উপরই ২০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা ছিল।

 

আরও পড়ুন: ওড়িশায় গুলির লড়াইয়ে নিহত দুই মাওবাদী

জানা গেছে, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-তে প্রায় চার দশক সক্রিয় থাকার পর বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন তারা।  বলা বাহুল্য, সঞ্জীব হল দণ্ডকরন্যা স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য এবং ওর স্ত্রী হল রাজ্য কমিটির সদস্য। সাংস্কৃতিক মঞ্চের ব্যানারে তাঁরা বিভিন্ন উপজাতি অঞ্চলে অনুষ্ঠান করে মাওবাদী আদর্শ প্রচার করতেন। দীনা, যিনি তেলেঙ্গানার নাগারকুরনুল জেলার বাসিন্দা, ১৯৯২ সালে নাল্লামালা অঞ্চলের দলে যোগ দেন এবং পরবর্তী সময়ে বিশাখাপত্তনম ও ছত্তিশগড়ে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি ডিকেএসজেডসিতে রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে পদোন্নতি পান।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ফের যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত এক মাওবাদী নেত্রী

 

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

পুলিশ সূত্রে খবর, দম্পতির জন্য সবরকম কল্যাণমূলক ব্যবস্থা এবং সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিই তাঁদের এই আত্মসমর্পণের কারণ। তেলেঙ্গানা সরকার এবং রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের আরও জানানো হয়, ওই দম্পতি আত্মসমর্পণ করলে পরিবারের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করতে পারবেন।

 

পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে ‘পরু বাদ্দু -ওরু মুদ্দু’ (ঝগড়া নয়, একটি শান্তিপূর্ণ গ্রাম) পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য মাওবাদীরা যারা এখনও লুকিয়ে আছেন তাদের সবাইকে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁদের জন্যও পুনর্বাসন স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। মূলধারায় ফিরে আসার জন্য সিনিয়র আন্ডারগ্রাউন্ড  মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

 

পুলিশ কমিশনার সুধীরবাবু জানিয়েছেন যারা এখনও সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আমরা তেলেঙ্গানার মাওবাদীদের তাদের নিজ গ্রামে ফিরে আসার এবং তেলেঙ্গানার উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এমনকি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে সহজে বিভ্রান্ত না  হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৪৫ বছর পর আত্মসমর্পণ প্রবীণ মাওবাদী দম্পতির

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

মারুফা খাতুন: ৪৫ বছর পর আত্মসমর্পণ প্রবীণ মাওবাদী দম্পতির। সাফল্য তেলেঙ্গানা পুলিশের। বৃহস্পতিবার মালা সঞ্জীব ওরফে লেঙ্গু দাদা এবং তার স্ত্রী পেরুগালা তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। উভয়ের মাথার উপরই ২০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা ছিল।

 

আরও পড়ুন: ওড়িশায় গুলির লড়াইয়ে নিহত দুই মাওবাদী

জানা গেছে, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-তে প্রায় চার দশক সক্রিয় থাকার পর বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন তারা।  বলা বাহুল্য, সঞ্জীব হল দণ্ডকরন্যা স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য এবং ওর স্ত্রী হল রাজ্য কমিটির সদস্য। সাংস্কৃতিক মঞ্চের ব্যানারে তাঁরা বিভিন্ন উপজাতি অঞ্চলে অনুষ্ঠান করে মাওবাদী আদর্শ প্রচার করতেন। দীনা, যিনি তেলেঙ্গানার নাগারকুরনুল জেলার বাসিন্দা, ১৯৯২ সালে নাল্লামালা অঞ্চলের দলে যোগ দেন এবং পরবর্তী সময়ে বিশাখাপত্তনম ও ছত্তিশগড়ে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি ডিকেএসজেডসিতে রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে পদোন্নতি পান।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ফের যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত এক মাওবাদী নেত্রী

 

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

পুলিশ সূত্রে খবর, দম্পতির জন্য সবরকম কল্যাণমূলক ব্যবস্থা এবং সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিই তাঁদের এই আত্মসমর্পণের কারণ। তেলেঙ্গানা সরকার এবং রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের আরও জানানো হয়, ওই দম্পতি আত্মসমর্পণ করলে পরিবারের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করতে পারবেন।

 

পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে ‘পরু বাদ্দু -ওরু মুদ্দু’ (ঝগড়া নয়, একটি শান্তিপূর্ণ গ্রাম) পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য মাওবাদীরা যারা এখনও লুকিয়ে আছেন তাদের সবাইকে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁদের জন্যও পুনর্বাসন স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। মূলধারায় ফিরে আসার জন্য সিনিয়র আন্ডারগ্রাউন্ড  মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

 

পুলিশ কমিশনার সুধীরবাবু জানিয়েছেন যারা এখনও সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আমরা তেলেঙ্গানার মাওবাদীদের তাদের নিজ গ্রামে ফিরে আসার এবং তেলেঙ্গানার উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এমনকি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে সহজে বিভ্রান্ত না  হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।