দুই ভাইয়ের এক বউ! হিমাচলের ‘দ্রৌপদী প্রথা’ নিয়ে ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

- আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 42
সিরমৌর, ২০ জুলাই: ভারতের প্রাচীন বিবাহরীতির সাক্ষী রইল হিমাচলের একটি গ্রাম। হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামে সম্প্রতি এক নারীকে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে দেখা যায়। স্থানীয়ভাবে ‘দ্রৌপদী প্রথা’ নামে পরিচিত এই রীতিতে, একই পরিবারের একাধিক ভাই মিলে একজন মহিলাকে বিবাহ করেন।
এই বিয়েতে অংশ নেন ট্র্যাডিশনাল হাট্টি সম্প্রদায়ের দুই ভাই – প্রদীপ নেগি ও কপিল নেগি। তারা কুনহাট গ্রামের সুনীতা চৌহানকে বিবাহ করেন। তিনদিন ধরে চলা এই ঐতিহ্যবাহী বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক অতিথি। পরিবেশন করা হয় ট্রান্স-গিরি অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার, আয়োজন হয় নাচ-গানের।
প্রদীপ একজন সরকারি কর্মচারী, আর কপিল বিদেশে কাজ করেন হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে। সুনীতা জানিয়েছেন, “আমাকে কেউ জোর করেনি। আমি রীতিটা জানতাম এবং সম্মত হয়েই বিয়ে করেছি।” হিমাচলের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের কিছু অঞ্চলেও এই ‘পলিয়ান্দ্রি’ প্রথা প্রচলিত। এর পেছনে রয়েছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ—সম্পত্তির ভাগ না হওয়া, বিধবা সমস্যার এড়ানো এবং পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা।
যদিও আধুনিককালে এই প্রথা বিলুপ্তির পথে। হট্টি সেন্ট্রাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুন্দন সিং শাস্ত্রী জানান, “এই প্রথা আজ আর তেমন প্রচলিত নয়। মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, শহরমুখী হচ্ছে, তাই ধীরে ধীরে রীতি বিলুপ্তির পথে।”
প্রসঙ্গত, হট্টি সম্প্রদায় সম্প্রতি ‘শিডিউলড ট্রাইব’ এর মর্যাদা পেয়েছে এবং হাইকোর্ট এই বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে ‘জোড়িদার আইন’-এর আওতায়। তবে এই প্রাচীন প্রথা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তীব্র বিতর্ক ও কৌতূহল।