পহেলগাঁওয়ে নিহত বাঙালিদের পরিবার উপস্থিত ধর্মতলায়
২১ জুলাই-এর সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

- আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার
- / 43
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আবেগের নাম ২১ জুলাই। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখ এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর পরিবার। তাঁদের সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মমতা। দুই পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি। জানালেন, দলের সব কর্মী ১ টাকা করে দিয়েছেন তাঁদের সাহায্যার্থে।
এদিনের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগ্রে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এরা ভোটের সময় বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে ঠিকই। মুখে মধু ঝড়ে ঠিকই তবে এদের মনে বাঙালি বিদ্বেস প্রবল। গোড়া থেকেই বিজেপিকে নিয়ে আক্রমণাত্মক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিন তিনি আরও বলেন, বিজেপির কাছে গোদি মিডিয়া, ইডি, সিবিআই, ইসি থাকা সত্ত্বেও বাংলায় জিততে পারেনি। বারবার ওদের ধরাশায়ী করেছি আমরা। কারণ, তৃণমূলের যা কর্মী-সমর্থক আছে, তার একটিও বিজেপিতে নেই। মনে করালেন চব্বিশের বেঁধে দেওয়া স্লোগান – ‘জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।’
ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেব
♦ ‘‘বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায় ওরা। তবে ছাব্বিশের পরবিজেপিকেই আমরা ওই ক্যাম্পে নিয়ে যাব। বিজেপিকে কোনও জায়গা ছাড়া চলবে না। এক ইঞ্চ’ও না।
♦ আমরা মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। গলা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’ বেরোবে। এক দিকে ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এক দিকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবহার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দিচ্ছে। দু’টি ই-কে কাজে লাগাচ্ছে। কেউ ভয় পাবেন না।’’
♦ ‘‘আমরা বাংলায় কথা বলি। ১০০ বার বলব। গর্ব করে বলব। ২০২৬ সালের পর বিজেপিকে দিয়েও ‘জয় বাংলা’ বলাব। লিখে রাখুন।’’ পদ্মফুল উপড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক।