যান নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের দেওয়া পরীক্ষায় পাশ কলকাতা পুলিশ, প্রশংসা বিচারপতির

- আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার
- / 38
আবুল খায়েরঃ হাইকোর্টের পরীক্ষায় মেধাবী ছাত্রের মতো পাশ করল কলকাতা পুলিশ। যান নিয়ন্ত্রণে সোমবার ধর্মতলার শহীদ দিবসের দরুণ কলকাতা পুলিশের কাছে এক বড় অগ্নিপরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে রাস্তায় গাড়ি কম থাকলেও যেভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করল কলকাতা পুলিশ তাতে খুশি আদালত। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন সড়ক পথ এড়াতে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল মেট্রোতে। একুশে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সভা শুরুর আগে কলকাতা মহানগরীতে যান চলাচলে পরিস্থিতি কেমন থাকে সেদিকে নজর ছিল হাইকোর্টের। সপ্তাহের প্রথম দিন তৃণমূলের সমাবেশের দরুণ নিত্যযাত্রীদের যাতে ভোগান্তির মুখে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এ দিন সকাল ৯টা বাজতে না বাজতেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে দেখা যায় জনপ্লাবন। সবাই তখন একুশে জুলাইয়ের সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে ধর্মতলামুখী। মাথার উপর সূর্য তখন উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। সেই ভিড় তখন ছায়া খুঁজছে। কারণ আদালত নির্দেশিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন তারা। উত্তরবঙ্গ, বহরমপুর, লালগোলা, নবদ্বীপ, রানাঘাট-সহ বিভিন্ন স্থান থেকে কেউ মধ্যরাতে, কেউ ভোরবেলা, কেউ সকালে বেরিয়ে ট্রেন জার্নি করে জমায়েত হন তারা। একই চিত্র দেখা যায় হাওড়া স্টেশনে। কিন্তু হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল সকাল ন’টা থেকে এগারোটার মধ্যে শহরে কোন মিছিল করা যাবে না। এই বিষয়টি দেখতে হবে কলকাতা পুলিশকে।
হাইকোর্টের দু’ঘণ্টার এই পরীক্ষায় সকাল ১১টা বাজার পর দেখা যায় কলকাতা পুলিশ পুরোপুরি কৃতকার্য হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা শহরের রাস্তায় গাড়ি কম ছিল। বাস, মিনিবাস সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুব কম পরিমাণে চলাচল করে। এর দরুণ কলকাতা শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। তবে তার মধ্যেও অফিস-যাত্রীরা যাতে সময় মত গন্তব্যস্থলে যেতে পারে সেদিকে লালবাজারের কড়া নজরদারি ছিল। মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকায় তাতে ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য। সোমবার সকালে কলকাতা পুলিশ যেভাবে মিছিল নিয়ন্ত্রণ করে যান চলাচল সামলেছে, তাতে তাদের কাজে প্রশংসা করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেছেন, ভালোভাবে যান নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। পুলিশ কাজ করেছে।