২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আধার,ভোটার আইডি ও রেশন কার্ড বৈধ নথি হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, সুপ্রিমকোর্টকে নির্বাচন কমিশন

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 52

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশন সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে হলফ নামা দিয়ে আশ্বস্ত করেছে যে, বিহারে চলমান বিশেষ গভীর সংশোধনী প্রক্রিয়া (SIR)-র সময় কেউ ভোটার তালিকায় অযোগ্য প্রমাণিত হলেও তার নাগরিকত্ব হারাবে না।

৮৮ পাতার হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, “SIR প্রক্রিয়ার অধীনে কোনো ব্যক্তির ভোটার তালিকায় নাম কাটলেই তার ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিল হবে না।”

মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল যে SIR আসলে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া, যা গণ-বঞ্চনার কারণ হতে পারে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আইন ও সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র চাওয়া তাদের এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে।

আরও পড়ুন: জালিয়াতি রুখতে পরিবার পিছু রেশনের পরিমাণ জানিয়ে মেসেজ পাঠাবে খাদ্য দফতর

নির্বাচন কমিশন জানায়, বিহারের বিদ্যমান ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা এনুমারেশন ফর্ম জমা দিলেই (ডকুমেন্ট থাকুক বা না থাকুক) ১ আগস্ট প্রকাশিত হতে যাওয়া খসড়া ভোটার তালিকায় থাকবেন। যারা সময়মতো ফর্ম জমা দিতে পারবেন না, তারা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা দাবি ও আপত্তির সময়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।

সুপ্রিম কোর্ট ইসিকে আধার, ভোটার আইডি ও রেশন কার্ডকে ১১টি নথির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে বলেছিল। কিন্তু কমিশন জানায়, এগুলো “স্ট্যান্ডঅ্যালোন ডকুমেন্ট” হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

কমিশনের যুক্তি আধার শুধুমাত্র পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না। আধার কার্ডে নিজস্ব নির্দেশনাও রয়েছে যে এটি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।

কমিশন বলেছে, জাল রেশন কার্ড ব্যাপক হারে জারি হওয়ায় এটি নির্ভরযোগ্য নয়।

ভোটার কার্ডের বিরোধিতা করে কমিশনের জানিয়েছে, পুরনো ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই এপিক নম্বর তৈরি হয়ে থাকে। ফলে এটি গ্রহণ করলে সংশোধনের ভিত্তিই হারিয়ে যায়।
কমিশন আরও জানায়, ২০০৩ সালে শেষবারের মতো অনুষ্ঠিত বিশেষ গভীর সংশোধনীর সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় ছিল, তাদের নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে হবে না। তারা আংশিক পূর্ণ এনুমারেশন ফর্ম এবং ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা জমা দিলেই হবে।

কমিশন সুপ্রিমকোর্টকে বলেছে, “গণ-বঞ্চনার আশঙ্কা ভুল ধারণা এবং অমূলক।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আধার,ভোটার আইডি ও রেশন কার্ড বৈধ নথি হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, সুপ্রিমকোর্টকে নির্বাচন কমিশন

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশন সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে হলফ নামা দিয়ে আশ্বস্ত করেছে যে, বিহারে চলমান বিশেষ গভীর সংশোধনী প্রক্রিয়া (SIR)-র সময় কেউ ভোটার তালিকায় অযোগ্য প্রমাণিত হলেও তার নাগরিকত্ব হারাবে না।

৮৮ পাতার হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, “SIR প্রক্রিয়ার অধীনে কোনো ব্যক্তির ভোটার তালিকায় নাম কাটলেই তার ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিল হবে না।”

মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল যে SIR আসলে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া, যা গণ-বঞ্চনার কারণ হতে পারে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আইন ও সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র চাওয়া তাদের এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে।

আরও পড়ুন: জালিয়াতি রুখতে পরিবার পিছু রেশনের পরিমাণ জানিয়ে মেসেজ পাঠাবে খাদ্য দফতর

নির্বাচন কমিশন জানায়, বিহারের বিদ্যমান ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা এনুমারেশন ফর্ম জমা দিলেই (ডকুমেন্ট থাকুক বা না থাকুক) ১ আগস্ট প্রকাশিত হতে যাওয়া খসড়া ভোটার তালিকায় থাকবেন। যারা সময়মতো ফর্ম জমা দিতে পারবেন না, তারা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা দাবি ও আপত্তির সময়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।

সুপ্রিম কোর্ট ইসিকে আধার, ভোটার আইডি ও রেশন কার্ডকে ১১টি নথির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে বলেছিল। কিন্তু কমিশন জানায়, এগুলো “স্ট্যান্ডঅ্যালোন ডকুমেন্ট” হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

কমিশনের যুক্তি আধার শুধুমাত্র পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না। আধার কার্ডে নিজস্ব নির্দেশনাও রয়েছে যে এটি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।

কমিশন বলেছে, জাল রেশন কার্ড ব্যাপক হারে জারি হওয়ায় এটি নির্ভরযোগ্য নয়।

ভোটার কার্ডের বিরোধিতা করে কমিশনের জানিয়েছে, পুরনো ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই এপিক নম্বর তৈরি হয়ে থাকে। ফলে এটি গ্রহণ করলে সংশোধনের ভিত্তিই হারিয়ে যায়।
কমিশন আরও জানায়, ২০০৩ সালে শেষবারের মতো অনুষ্ঠিত বিশেষ গভীর সংশোধনীর সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় ছিল, তাদের নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে হবে না। তারা আংশিক পূর্ণ এনুমারেশন ফর্ম এবং ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা জমা দিলেই হবে।

কমিশন সুপ্রিমকোর্টকে বলেছে, “গণ-বঞ্চনার আশঙ্কা ভুল ধারণা এবং অমূলক।”