২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিশানা বিহার ও দিল্লি: ভোটার তালিকা সমীক্ষা ও উচ্ছেদ বিরোধে সংসদে তৃণমূল-‘ইন্ডিয়া’ জোটের তুমুল বিক্ষোভ

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 58

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা উচ্চ(SIR) নিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ল কেন্দ্র। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’— যার অন্তর্ভুক্ত কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি-সহ একাধিক দল— সংসদ চত্বরে একযোগে স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, এই সমীক্ষা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। তাঁদের হাতে থাকা পোস্টারেও লেখা ছিল, ‘SIR: গণতন্ত্রের উপর আঘাত’।

 

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও। এর জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়। পরবর্তী অধিবেশনেও উত্তেজনা কমেনি। অবশেষে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা। স্পিকার বিরোধীদের এই আচরণকে “সভার গরিমা নষ্ট” বলেও কটাক্ষ করেন।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংস্কার নিয়ে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ লালু প্রসাদ যাদবের

 

আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশন: সংসদে বিক্ষোভ বিরোধীদের

তবে বিরোধীরা অনড়। তাঁদের দাবি, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বিশেষ সমীক্ষা বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “নির্বাচন কমিশন আর নিরপেক্ষ কাজ করছে না। আমরা নিশ্চিত, কর্নাটকের একটি আসনে কারচুপি করতেই দিয়েছে কমিশন।”

আরও পড়ুন: বিরোধীদের লাগাতার চাপ, অবশেষে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার

 

বিহারের পাশাপাশি, দিল্লির জয় হিন্দ কলোনি নিয়েও সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলের উচ্ছেদের উপর পটিয়ালা হাউস কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় আন্দোলনের জয় বলেই দাবি করে দলটি। বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি লেখেন, “বাংলাভাষীদের ন্যায়বিচারের পথে এটা আমাদের প্রথম জয়। বাংলা-বিরোধী নরেন্দ্র মোদী সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি বাংলাকে দমন করতে পারবে না।”

 

এই বিষয়ে সংসদেও সরব হন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং শুক্রবার আদালতের রায় সংসদে তুলে ধরেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিশানা বিহার ও দিল্লি: ভোটার তালিকা সমীক্ষা ও উচ্ছেদ বিরোধে সংসদে তৃণমূল-‘ইন্ডিয়া’ জোটের তুমুল বিক্ষোভ

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা উচ্চ(SIR) নিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ল কেন্দ্র। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’— যার অন্তর্ভুক্ত কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি-সহ একাধিক দল— সংসদ চত্বরে একযোগে স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, এই সমীক্ষা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। তাঁদের হাতে থাকা পোস্টারেও লেখা ছিল, ‘SIR: গণতন্ত্রের উপর আঘাত’।

 

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও। এর জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়। পরবর্তী অধিবেশনেও উত্তেজনা কমেনি। অবশেষে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা। স্পিকার বিরোধীদের এই আচরণকে “সভার গরিমা নষ্ট” বলেও কটাক্ষ করেন।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংস্কার নিয়ে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ লালু প্রসাদ যাদবের

 

আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশন: সংসদে বিক্ষোভ বিরোধীদের

তবে বিরোধীরা অনড়। তাঁদের দাবি, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বিশেষ সমীক্ষা বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “নির্বাচন কমিশন আর নিরপেক্ষ কাজ করছে না। আমরা নিশ্চিত, কর্নাটকের একটি আসনে কারচুপি করতেই দিয়েছে কমিশন।”

আরও পড়ুন: বিরোধীদের লাগাতার চাপ, অবশেষে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার

 

বিহারের পাশাপাশি, দিল্লির জয় হিন্দ কলোনি নিয়েও সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলের উচ্ছেদের উপর পটিয়ালা হাউস কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় আন্দোলনের জয় বলেই দাবি করে দলটি। বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি লেখেন, “বাংলাভাষীদের ন্যায়বিচারের পথে এটা আমাদের প্রথম জয়। বাংলা-বিরোধী নরেন্দ্র মোদী সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি বাংলাকে দমন করতে পারবে না।”

 

এই বিষয়ে সংসদেও সরব হন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং শুক্রবার আদালতের রায় সংসদে তুলে ধরেন।