হামাসকে খুঁজে বার করা হবে: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

- আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 26
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: হামাস যুদ্ধবিরতির কোনও রকম চুক্তি চাইছে না; এমনটাই মন্তব্য করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে, ইসরাইলের হাতে ধরা পড়া সব জিম্মি ছাড়া হয়ে গেলে এরপর কী হতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই পিছিয়ে রয়েছে হামাস।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। আমরা অপেক্ষা করছি জিম্মিরা ছাড়া পাওয়ার জন্য। কিন্তু হামাস জানে, ওদের হাতে থাকা শেষ বন্দিদের ছেড়ে দিলে এরপর ওদের কপালে কী আছে। তাই ওরা চুক্তি করতে চাইছে না।’তিনি আরও বলেন, ‘হামাসকে খুঁজে বার করে ধরা হবে। ওরা আদৌ কোনও সমঝোতা করতে চায় না। আমার মনে হয় ওরা মরতেই চায়। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
এই মন্তব্য এসেছে এমন সময়, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারে হামাস, ইসরাইল ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মধ্যে চলা আলোচনা কার্যত থমকে গেছে। এর আগেই ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছিলেন, হামাসের উদাসীনতার কারণে আমেরিকা আপাতত আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ইসরাইল ও কাতারে থাকা তাদের আলোচক দল ফিরিয়ে এনেছে।
যদিও হামাসের দাবি, তারা শুরু থেকেই আলোচনা নিয়ে গঠনমূলক মনোভাব দেখিয়েছে এবং কাতার ও মিশরের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশরাও তা স্বীকার করেছে। হামাস স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা একটা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়;যেখানে গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ থাকবে এবং ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা হবে না।
গত কয়েক মাস ধরে অন্তত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার অংশ হিসেবে ১০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং সেই বিনিময়ে ইসরাইল কিছু সময়ের জন্য হামলা বন্ধ রাখবে। তবে ইসরাইল স্পষ্ট বলেছে, তারা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার পর ফের হামলা শুরু করবে এবং শেষ পর্যন্ত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেবে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির সময় বহু ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণে আটক শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে, যাতে পরে তাদের পুরো গাজা থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া যায়। এই মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে ঠিকই, কিন্তু গাজায় আমাদের অভিযান এখনও শেষ হয়নি।’