২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আমাদের পাড়া ,আমাদের সমাধান” কি কি কাজ করা যাবে, জানালো নবান্ন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 20

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো ২ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। এখন রাজ্যজুড়ে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। গত শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তার পরেই এই কর্মসূচির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা মান্য কার্যবিধি প্রকাশ করেছে নবান্ন।

সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২ অগাস্ট থেকে শুরু হয়ে তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। পুজোর দিনগুলি বাদ না দিয়েই জেলার প্রতিটি ব্লকে, গ্রামে বা শহরাঞ্চলে শিবির করে স্থানীয় সমস্যার খতিয়ান তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঠিক কী কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে মমতার মাস্টারস্ট্রোক! রাজ্যে চালু হচ্ছে নতুন প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

রাজ্য সরকারের এসওপি অনুযায়ী, মূলত ১৫ ধরনের কাজ করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। তার মধ্যে রয়েছে-নিকাশি নালা নির্মাণ বা সংস্কার, পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, জলের ট্যাঙ্ক বসানো, রাস্তায় আলো বসানো, কমিউনিটি টয়লেট তৈরি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ মেরামত, খেলার মাঠ নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন রং করা, শৌচাগার মেরামত, পুকুর সংস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা, কমিউনিটি শেড তৈরি, বাজার বা বাসস্টপে আলো ও ছাউনি বসানো। এই তালিকায় রয়েছে এমন সব কাজ যা স্থানীয় মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত এবং তুলনায় কম সময়ে কম খরচে সম্পন্ন করা যায়।

"আমাদের পাড়া ,আমাদের সমাধান" কি কি কাজ করা যাবে, জানালো নবান্ন

এসওপি-তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বড় ধরনের নির্মাণকাজ, যেমন- নতুন স্কুল, আইসিডিএস কেন্দ্র বা সরকারি দফতরের ভবন তৈরি করা যাবে না। জমি কেনা বা ভাড়া নেওয়াও নিষিদ্ধ। প্রকল্পে ব্যবহারযোগ্য জমি অবশ্যই সরকারি হতে হবে অথবা এমন জমি, যেটি নিয়ে কোনও আইনি জটিলতা নেই। প্রকল্পটি জনসমষ্টির উপকারে আসার জন্য, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়।

দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নয়া প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামে বুথ স্তরে ছোট ছোট কাজ করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু করেছেন। নির্বাচনের আগে গতিস্তরে কাজের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই নয়া প্রকল্প নজির সৃষ্টি করবে বলেই রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

“আমাদের পাড়া ,আমাদের সমাধান” কি কি কাজ করা যাবে, জানালো নবান্ন

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো ২ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। এখন রাজ্যজুড়ে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। গত শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তার পরেই এই কর্মসূচির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা মান্য কার্যবিধি প্রকাশ করেছে নবান্ন।

সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২ অগাস্ট থেকে শুরু হয়ে তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। পুজোর দিনগুলি বাদ না দিয়েই জেলার প্রতিটি ব্লকে, গ্রামে বা শহরাঞ্চলে শিবির করে স্থানীয় সমস্যার খতিয়ান তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঠিক কী কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে মমতার মাস্টারস্ট্রোক! রাজ্যে চালু হচ্ছে নতুন প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

রাজ্য সরকারের এসওপি অনুযায়ী, মূলত ১৫ ধরনের কাজ করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। তার মধ্যে রয়েছে-নিকাশি নালা নির্মাণ বা সংস্কার, পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, জলের ট্যাঙ্ক বসানো, রাস্তায় আলো বসানো, কমিউনিটি টয়লেট তৈরি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ মেরামত, খেলার মাঠ নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন রং করা, শৌচাগার মেরামত, পুকুর সংস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা, কমিউনিটি শেড তৈরি, বাজার বা বাসস্টপে আলো ও ছাউনি বসানো। এই তালিকায় রয়েছে এমন সব কাজ যা স্থানীয় মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত এবং তুলনায় কম সময়ে কম খরচে সম্পন্ন করা যায়।

"আমাদের পাড়া ,আমাদের সমাধান" কি কি কাজ করা যাবে, জানালো নবান্ন

এসওপি-তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বড় ধরনের নির্মাণকাজ, যেমন- নতুন স্কুল, আইসিডিএস কেন্দ্র বা সরকারি দফতরের ভবন তৈরি করা যাবে না। জমি কেনা বা ভাড়া নেওয়াও নিষিদ্ধ। প্রকল্পে ব্যবহারযোগ্য জমি অবশ্যই সরকারি হতে হবে অথবা এমন জমি, যেটি নিয়ে কোনও আইনি জটিলতা নেই। প্রকল্পটি জনসমষ্টির উপকারে আসার জন্য, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়।

দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নয়া প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামে বুথ স্তরে ছোট ছোট কাজ করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু করেছেন। নির্বাচনের আগে গতিস্তরে কাজের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই নয়া প্রকল্প নজির সৃষ্টি করবে বলেই রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।