বিহারে তালিকা সংশোধন, আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

- আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার
- / 37
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : ভোটমুখী বিহারে নির্বাচন কমিশনের নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে যে দশটির মতো আবেদন জমা পড়েছে, তা নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে সম্ভবত এই মামলার শুনানি হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা নাগরিকত্ব যাচাইয়ে কমিশনের এক্তিয়ার রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
তার জবাবে কমিশনের কৌঁসুলি বলেছেন, কমিশনেরও নাগরিকত্ব যাচাইয়ের অধিকার রয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডকে বৈধ প্রমাণ হিসেবে মেনে নেওয়ার কথা বলেছিল। সেক্ষেত্রেও কমিশন জানিয়েছে, আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড নাকি মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে। তাই এই দুই কার্ডকে বৈধ প্রমাণ হিসেবে মেনে নেওয়ার সমস্যা রয়েছে। কমিশন দাবি করেছে, ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতেই এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশন বলেছে, তাদের এই প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দলের বুথভিত্তিক এজেন্টরা সহযোগিতা করছেন, অথচ তারাই আদালতে এসে উল্টো কথা বলছে। সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে যে হলফনামা পেশ করতে বলেছিল তা গত ২১ জুলাই পেশ করেছে কমিশন। এদিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস(এডি আর) বলেছে, ইলেকট্রোরাল রেজিষ্ট্রেশন অফিসাররা ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বিহারে ব্যাপক নাম বাদ দিয়েছেন। তাই কমিশনের ২৪ জুনের নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের নোটিশ খারিজ করার দাবি করেছে এডি আর। আধার কার্ড এবং রেশন কার্ডকে বৈধ প্রমাণ হিসেবে না গণ্য করার তীব্র বিরোধিতা করেছে এই সংগঠন।
এডি আর এর দাবি, বুথভিত্তিক অফিসাররা ভোটার আবেদনপত্রে নিজেরাই সই করে যারা মৃত তাদের নতুন করে ভোটার বানিয়ে দিচ্ছেন। আর যারা আবেদনপত্র পূরণ করেননি তাদের কাছে মেসেজে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, আবেদনপত্র পূরণ হয়ে গিয়েছে। ভোটারদের না জানিয়ে প্রচুর আবেদনপত্র আপলোড করছেন ওই অফিসাররা এবং অনেক ভোটার বুথে যাওয়ার আগেই শুনছেন তাঁদের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ হবে। কমিশন রাজনৈতিক দলের কথাই শুনছে না।
পুরো বিষয়টি ভোটদাতাদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা বলে মনে করে এডি আর। সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১ ধারাকে কচুকাটা করা হচ্ছে। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝায়ের কৌঁসুলি ফৌজিয়া শাকিল বলেছেন, বিএলওরা ভোটারদের বাড়ি না গিয়েই ভোটারের হয়ে আবেদনপত্রে জাল সই করে দিচ্ছেন। এরকম কখনও হয়নি। আসলে জন্মতারিখের যে কোনও প্রমাণপত্র এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র থাকলেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা যায়। যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, বিহারে ৪০ লক্ষ নাম বাদ দেবে কমিশন।