০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গ্রাম ছেড়েছে অনেকে

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ভাগীরথীর ভয়াবহ ভাঙন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদক : কথায় বলে, ‘নদীর ধারে বাস, ভাবনা বারো মাস।’ নদীপাড়ে মানুষদের হাতে জীবন নিয়ে একপ্রকার বাঁচতে হয়। তাই বর্ষার একটু বৃষ্টিতেই জল বাড়লে মানুষের ‘ত্রাহি ত্রাহি’ রব উঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের চর বিষ্ণুপুরে ভাগীরথীর ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত নদীপাড়ের মাটি ধসে পড়ছে জলে। নদীর জল বাড়ায় গাছগুলি জলের উপর ভাসছে।

প্রসঙ্গত, কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের চর সাহাপুর, চর বিষ্ণুপুর, চর কালিকাপুর গ্রামগুলির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী। চর বিষ্ণুপুর, চর কবিরাজপুর মৌজায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘১৯৯৬ সালের ভয়াবহ বন্যার পর ভাগীরথী ভাঙনে কয়েকবারই নদী তার গতিপথ বদলেছে। চর বিষ্ণুপুর গ্রামের সঙ্গে বিষ্ণুপুর গ্রামকে আলাদা করেছে ভাগীরথী।

১৯৯৮ সাল থেকে ভাগীরথী চর বিষ্ণুপুর গ্রাম একটু একটু করে ভাগীরথীর গর্ভে বিলীন হতে শুরু করে। একে একে গ্রামের দুর্গা দালান, কালীমন্দির, প্রাইমারি স্কুল, ক্লাবঘর, খেলার মাঠ সহ জমি, বাপ ঠাকুরদার বসত ভিটে সবই চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হতে দেখেছেন তারা।’ বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিনিয়ত নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে জলে। ধীরে ধীরে গোটা গ্রামটাই গিলে নিচ্ছে নদী।

গ্রাম ছেড়ে বেশিরভাগ বাসিন্দা আগেই চলে গিয়েছে। এখনও চর বিষ্ণুপুরে যে চার-পাঁচটি বাড়ি ও চাষের জমি রয়েছে তা ভাঙনের জেরে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নিতাইসুন্দর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই মৌজাগুলিতে ভাঙন ব্যাপক আকার নিয়েছে। বাড়ি ঘর ভেঙেছে। সবজি ক্ষেতে জল ঢুকেছে। আমরা বিষয়টি বিধায়ককে জানিয়েছি।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গ্রাম ছেড়েছে অনেকে

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ভাগীরথীর ভয়াবহ ভাঙন

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : কথায় বলে, ‘নদীর ধারে বাস, ভাবনা বারো মাস।’ নদীপাড়ে মানুষদের হাতে জীবন নিয়ে একপ্রকার বাঁচতে হয়। তাই বর্ষার একটু বৃষ্টিতেই জল বাড়লে মানুষের ‘ত্রাহি ত্রাহি’ রব উঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের চর বিষ্ণুপুরে ভাগীরথীর ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত নদীপাড়ের মাটি ধসে পড়ছে জলে। নদীর জল বাড়ায় গাছগুলি জলের উপর ভাসছে।

প্রসঙ্গত, কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের চর সাহাপুর, চর বিষ্ণুপুর, চর কালিকাপুর গ্রামগুলির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী। চর বিষ্ণুপুর, চর কবিরাজপুর মৌজায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘১৯৯৬ সালের ভয়াবহ বন্যার পর ভাগীরথী ভাঙনে কয়েকবারই নদী তার গতিপথ বদলেছে। চর বিষ্ণুপুর গ্রামের সঙ্গে বিষ্ণুপুর গ্রামকে আলাদা করেছে ভাগীরথী।

১৯৯৮ সাল থেকে ভাগীরথী চর বিষ্ণুপুর গ্রাম একটু একটু করে ভাগীরথীর গর্ভে বিলীন হতে শুরু করে। একে একে গ্রামের দুর্গা দালান, কালীমন্দির, প্রাইমারি স্কুল, ক্লাবঘর, খেলার মাঠ সহ জমি, বাপ ঠাকুরদার বসত ভিটে সবই চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হতে দেখেছেন তারা।’ বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিনিয়ত নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে জলে। ধীরে ধীরে গোটা গ্রামটাই গিলে নিচ্ছে নদী।

গ্রাম ছেড়ে বেশিরভাগ বাসিন্দা আগেই চলে গিয়েছে। এখনও চর বিষ্ণুপুরে যে চার-পাঁচটি বাড়ি ও চাষের জমি রয়েছে তা ভাঙনের জেরে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নিতাইসুন্দর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই মৌজাগুলিতে ভাঙন ব্যাপক আকার নিয়েছে। বাড়ি ঘর ভেঙেছে। সবজি ক্ষেতে জল ঢুকেছে। আমরা বিষয়টি বিধায়ককে জানিয়েছি।’