‘উদ্বোধনের দিন নয়া সংসদ ভবনে গরু নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল’: শঙ্করাচার্য

- আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 14
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মূর্তি থাকতে পারলে, জীবন্ত গরুতে সমস্যা কোথায়? নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনে গরু নিয়ে না যাওয়ায় বেজায় চটলেন জোশীমঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তিনি জানান, ‘উদ্বোধনের দিন নতুন সংসদ ভবনে গরু নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল’। কিন্তু সংসদে গরুর কী কাজ? তাঁর কথায়, যদি গরুর মূর্তি সংসদে ঢুকতে পারে, তা হলে আসল গরু কেন না? কিন্তু সংসদে গরুর মূর্তিটাই বা কোথায়?
শঙ্করাচার্যের ভাষ্যে নয়া সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে সেনগল ছিল, সেই রাজদণ্ডেই একটি গরুর ছবি খোদাই করা দেখা গিয়েছে। তাই ওইদিন মূর্তির বদলে জীবন্ত গরু নিয়ে গেলে বেশি লাভদায়ক হত। সরাসরি সেই গরুর কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়া যেত। এবার প্রশাসন যদি তা না পারে, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে গোটা দেশের নানা প্রান্তের গরু নিয়ে যেতে পারি। গরু প্রসঙ্গে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। গরুকে নিয়ে একাধিক প্রস্তাবও সামনে রাখেন।
মহারাষ্ট্রের প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র সরকারের উচিত গরুকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নীতি তৈরি করা। কেউ যদি গরুকে উত্ত্যক্ত না করে তার জন্য জরিমানাও ধার্য করা হোক। এছাড়া দেশজুড়ে ৪ হাজার ১২৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে ‘রামধাম’ গড়ে তোলার দাবিও তোলেন। যেখানে ১০০টি করে গরুর সেবা-রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
পাশাপাশি কেউ যদি ১০০টি গরুর দায়িত্ব নিয়ে সেবার কাজ করেন, তাহলে তাঁর জন্য মাসিক ২ লক্ষ টাকা ভাতার দাবি জানিয়েছেন শঙ্করাচার্য। গরুকে কীভাবে সম্মান জানানো হবে, সেই নিয়ে এখনও কোনও সরকারি প্রোটোকল না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শঙ্করাচার্য। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও ভোলেননি তিনি। বলেন, যে সরকার গরু হত্যা বন্ধ করতে পারে না, তারা আমাদের ভাই নয়। যারা গোরক্ষার্থে কাজ করবে তাঁদেরই আমরা সমর্থন করব।