কেন বিহারে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ? জানান, সুপ্রিম নির্দেশ কমিশনকে

- আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 44
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডি আর) এর আইনজীবী প্রশান্তভূষণের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির এক বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের কাছে বিহারে ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ৬৫ লক্ষ নাগরিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলল।
এদিন প্রশান্তভূষণ বলেন, বিহারে খসড়া তালিকায় ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু ওই ৬৫ লক্ষ নাগরিকের নামধাম কিছুই জানায়নি কমিশন। কমিশন বলেছে, ৩২ লক্ষ বিহারের নাগরিক অন্যত্র চলে গিয়েছেন। আর কিছু জানানো হয় নি। ওই ৬৫ লক্ষ কারা তা জানানো উচিত কমিশনের। কারা চলে গিয়েছেন? কারাই বা মারা গিয়েছেন? যতদূর জেনেছি, বিএল আর ওরা দুই কেন্দ্রের কাদের নাম বাদ গিয়েছে এবং কাদের বাদ যায়নি, তা জানিয়েছেন। অন্য কেন্দ্রগুলির কী অবস্থা? আমরা বিশদে জানতে চাই।
বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এন কে সিং এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইঞা এই বেঞ্চে রয়েছেন। তাঁরা বলেন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এই তথ্য জানানোর কথা। কমিশনের কৌঁসুলি বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছে যা যা তথ্য দেওয়ার সব দেওয়া হয়েছে। তখন বিচারপতিরা বলেন, কোন কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের তথ্য দিয়েছেন আপনি তার তালিকা দিন। আমরা ১২ আগস্ট ফের এই মামলার শুনানি করব। তার মধ্যে তালিকা তৈরি করুন।
এরপর প্রশান্তভূষণ বলেন, যাদের আবেদন জমা নিয়েছে কমিশন তাদের বেশিরভাগকেই কিছু দেওয়া হয় নি। তখন বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, আমরা দেখব যাতে যেসব ভোটারদের নাম বাদ যাবে তাঁদের যাতে কমিশন থেকে জানানো হয়। এরপর কমিশনের কৌঁসুলিকে বিচারপতিরা বলেন, শনিবারের মধ্যে এর জবাব দিন এবং আইনজীবী প্রশান্তভূষণকেও তা দেখাবেন। তারপর আমরা দেখব, কী জানানো হয়েছে আর কী জানানো হয়নি।
এডি আরের আবেদনে বলা হয় , ২৫ জুলাই কমিশন বলে, মোটামুটি ৬৫ লক্ষ নাম বিহারের তালিকা থেকে বাদ যাবে।বুথ অফিসার এবং বুথ এজেন্টরা জানিয়েছিলেন যে, আগের তালিকার ২২ লক্ষ ভোটার মৃত এবং ৭ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিক কেন্দ্রের তালিকায় রয়েছে। আর ৩৫ লক্ষ ভোটার অন্যত্র চলে গিয়েছেন।
আবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশন বলেছিল, বিহারে আবেদনপত্র নিয়ে গিয়েছে অথচ জমা দেননি ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোটদাতা। এরপর ১ আগস্ট কমিশন যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে সম্ভবত ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। এই তালিকা কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কেন ওই ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গেল তার কোনও কারণ দেখানো হয়নি।
তাই এইসব তথ্য যাচাই করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আগে কাদের নাম বাদ গেল তার একটা তালিকা দেওয়া হত। এখন তা দেওয়া হয় না। আমাদের কাছে খবর আছে, দ্বারভাঙ্গা এবং কাইমুর জেলার বি এল ওরা আবেদনপত্র জমা নিয়েও বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাই স্বচ্ছতার স্বার্থে বাদ যাওয়া নামের তালিকা এবং কেন বাদ গেল, তার তথ্য দেওয়া প্রয়োজন।