২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স ২০২৫: ওবিসি সংরক্ষণ ইস্যুতে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 1044

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (WBJEE 2025) ফলপ্রকাশ ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত ওবিসি (OBC) এ ও বি ক্যাটিগরি অনুসারে তৈরি হওয়া মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

 

মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য জয়েন্টের ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আজই (শুক্রবার) আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করব।” উল্লেখ্য, ৭ অগস্ট জয়েন্টের ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Supreme Court on VC Appointment: ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সায় ললিত কমিটির

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

এই জটিলতার মূল উৎস, ২০২৩ সালের হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের একটি রায়, যেখানে রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গেই এবার নতুন করে হস্তক্ষেপ করেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তিনি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্রধারীদের ভিত্তিতে নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। বিচারপতি বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডকে তালিকা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং ২০১০ সালের আগে সংরক্ষিত ৭% বা ৬৬টি সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের নিয়েই তালিকা তৈরি করতে হবে।”

আরও পড়ুন: ওবিসি জট কাটতেই প্রকাশিত রাজ্যের জয়েন্টের মেধাতালিকা, প্রথম দশে কারা…? 

 

উল্লেখযোগ্য, ২৭ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশ হয়নি। অবশেষে ৭ অগস্ট ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা করা হয়। ঠিক তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার, ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌখিকভাবে ফলপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

 

ফলে রাজ্য সরকারের তরফে এই স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। রাজ্যের দাবি, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ছে, তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছেই এখন চূড়ান্ত আশ্রয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স ২০২৫: ওবিসি সংরক্ষণ ইস্যুতে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (WBJEE 2025) ফলপ্রকাশ ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত ওবিসি (OBC) এ ও বি ক্যাটিগরি অনুসারে তৈরি হওয়া মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

 

মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য জয়েন্টের ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আজই (শুক্রবার) আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করব।” উল্লেখ্য, ৭ অগস্ট জয়েন্টের ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Supreme Court on VC Appointment: ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সায় ললিত কমিটির

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

এই জটিলতার মূল উৎস, ২০২৩ সালের হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের একটি রায়, যেখানে রাজ্যের ওবিসি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গেই এবার নতুন করে হস্তক্ষেপ করেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তিনি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্রধারীদের ভিত্তিতে নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। বিচারপতি বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডকে তালিকা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং ২০১০ সালের আগে সংরক্ষিত ৭% বা ৬৬টি সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের নিয়েই তালিকা তৈরি করতে হবে।”

আরও পড়ুন: ওবিসি জট কাটতেই প্রকাশিত রাজ্যের জয়েন্টের মেধাতালিকা, প্রথম দশে কারা…? 

 

উল্লেখযোগ্য, ২৭ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশ হয়নি। অবশেষে ৭ অগস্ট ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা করা হয়। ঠিক তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার, ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌখিকভাবে ফলপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

 

ফলে রাজ্য সরকারের তরফে এই স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। রাজ্যের দাবি, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ছে, তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছেই এখন চূড়ান্ত আশ্রয়।