১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এখনও নিখোঁজ ৭৫ জন

মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে চিসোটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৬

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 21

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভয়াবহ মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির প্রভাবে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের চিসোটি জেলা। মেঘভাঙ্গা এই বৃষ্টির ফলে যে ভয়ানক বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে তাতে নিখোঁজ ৭৫ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, এই ৭৫ জনের আর বেঁচে থাকার কোনরূপ আশাই নেই। এই বিপর্যয়ে দিনদিন মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

টানা ৬ দিনের উদ্ধারকার্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৬। এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করার জন্য ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী, রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, সীমান্ত সড়ক সংস্থা, স্থানীয় পুলিশ এবং অন্যান্য বেসামরিক সংস্থার কর্মীরা মিলে এক নতুন উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে দুটি অল-টেরেন যানবাহন, জেসিবি ও এলএনটি মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Kishtwar Cloudburst Rain: জম্মু ও কাশ্মীরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত বেড়ে ৫০

এছাড়াও এই এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত চিকিৎসকের দল ও জরুরি সমস্ত জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি লঙ্গর বা সামজিক রান্নাঘর। হঠাৎকরে আসা বন্যার সময় বহু তীর্থযাত্রী এই লঙ্গরে উপস্থিত ছিলেন। আপাতত ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী, বাড়ি ও দোকানপাটে অনুসন্ধানের কাজ চলছে। বড় বড় পাথর সরানোর জন্য সেনাবাহিনী, প্রয়োজনীয় ও নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানোও হয়েছে।

আরও পড়ুন: J&K Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত বেড়ে ৩৮, শোকপ্রকাশ মোদির

এসডিআরএফ জানিয়েছে, গতকাল নদী থেকে উদ্ধার হওয়া দুই নারীর মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তীর্থযাত্রী, স্থানীয় গ্রামবাসী, তিনজন সিআইএসএফ কর্মী এবং জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের একজন বিশেষ পুলিশ অফিসার। এসডিআরএফ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছে, যতক্ষন না পর্যন্ত সমস্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের পুরোপুরি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে এই উদ্ধারকাজ।

আরও পড়ুন: কুলগামে গুলির লড়াইয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মী শহীদ, ১০ জন আহত

আচমকা বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে চিসোটি গ্রাম কার্যত প্রায় দুটুকরো হয়ে গিয়েছে। জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রায় ১৪টি বাড়ি, দুটি মন্দির, অনেক দোকানপাট ও ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু এই বিপর্যয়ে ভেসে গেছে। আপাতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ তৈরী করা হয়েছে। এমনকি মাচাইল মাতা যাত্রা যেটি গত ২৫শে জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল তা এই দুর্যোগের কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এখনও নিখোঁজ ৭৫ জন

মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে চিসোটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৬

আপডেট : ১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভয়াবহ মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির প্রভাবে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের চিসোটি জেলা। মেঘভাঙ্গা এই বৃষ্টির ফলে যে ভয়ানক বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে তাতে নিখোঁজ ৭৫ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, এই ৭৫ জনের আর বেঁচে থাকার কোনরূপ আশাই নেই। এই বিপর্যয়ে দিনদিন মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

টানা ৬ দিনের উদ্ধারকার্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৬। এই পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করার জন্য ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী, রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, সীমান্ত সড়ক সংস্থা, স্থানীয় পুলিশ এবং অন্যান্য বেসামরিক সংস্থার কর্মীরা মিলে এক নতুন উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে দুটি অল-টেরেন যানবাহন, জেসিবি ও এলএনটি মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Kishtwar Cloudburst Rain: জম্মু ও কাশ্মীরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত বেড়ে ৫০

এছাড়াও এই এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত চিকিৎসকের দল ও জরুরি সমস্ত জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি লঙ্গর বা সামজিক রান্নাঘর। হঠাৎকরে আসা বন্যার সময় বহু তীর্থযাত্রী এই লঙ্গরে উপস্থিত ছিলেন। আপাতত ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী, বাড়ি ও দোকানপাটে অনুসন্ধানের কাজ চলছে। বড় বড় পাথর সরানোর জন্য সেনাবাহিনী, প্রয়োজনীয় ও নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানোও হয়েছে।

আরও পড়ুন: J&K Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত বেড়ে ৩৮, শোকপ্রকাশ মোদির

এসডিআরএফ জানিয়েছে, গতকাল নদী থেকে উদ্ধার হওয়া দুই নারীর মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তীর্থযাত্রী, স্থানীয় গ্রামবাসী, তিনজন সিআইএসএফ কর্মী এবং জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের একজন বিশেষ পুলিশ অফিসার। এসডিআরএফ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছে, যতক্ষন না পর্যন্ত সমস্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের পুরোপুরি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে এই উদ্ধারকাজ।

আরও পড়ুন: কুলগামে গুলির লড়াইয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মী শহীদ, ১০ জন আহত

আচমকা বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে চিসোটি গ্রাম কার্যত প্রায় দুটুকরো হয়ে গিয়েছে। জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রায় ১৪টি বাড়ি, দুটি মন্দির, অনেক দোকানপাট ও ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু এই বিপর্যয়ে ভেসে গেছে। আপাতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ তৈরী করা হয়েছে। এমনকি মাচাইল মাতা যাত্রা যেটি গত ২৫শে জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল তা এই দুর্যোগের কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে।