ধর্মতলায় বিক্ষোভে ধুন্ধুমার, আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি আটক

- আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 41
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ধর্মতলার রাস্তায় বুধবার (২০ অগস্ট) ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আইএসএফের বিক্ষোভকে ঘিরে। দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে সংশোধিত ওয়াকফ আইন এবং SIR-এর বিরুদ্ধে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই মিছিল হওয়ায় পুলিশ সরাতে গেলে শুরু হয় প্রবল ধস্তাধস্তি। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীরা পাশাপাশি সরাসরি নওশাদ নিজেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতেই চলে ব্যাপক ধড়পাকড়। শেষ পর্যন্ত প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করা হয় নওশাদ সিদ্দিকিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আইএসএফ এই মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেয়নি। ধর্মতলার মেইন রোডের কাছে মিছিল আসতেই পুলিশ তা সরাতে বলে। কিন্তু নওশাদ তা মানতে রাজি না হলে সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর ওয়াই-চ্যানেলে বসে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ধরনায়। মুহূর্তে উত্তেজনা বাড়লে পুলিশ বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আইএসএফ কোনও অনুমতি নেয়নি। নওশাদকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
ঘটনার পর নওশাদ অভিযোগ করেন, পুলিশের তরফে তাঁকে ঘুষি মারা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “আমার মাথায় টুপি আছে বলে কি প্রতিবাদ করতে পারব না? আটক করতে এসে হাত মোড়াতে চাইছে পুলিশ।” এমনকি এক পুলিশ আধিকারিক আটকাতে এলে নওশাদ পাল্টা বলেন, “আপনার আইডি কার্ড দেখান।” তিনিও স্বীকার করেন, এই মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
প্রতিবাদের সময় নওশাদের কটাক্ষ, “ওয়াকফ নিয়ে আন্দোলন করতে দেবেন না কেন? OBC নিয়ে নাটক করছে সরকার। আমাদের সাইডে ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম, পুলিশ রাজি হয়নি। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন বিজেপি-আরএসএসকে দেখাতে, বাংলায় ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন নেই। সেই জন্যই আমাদের আটক করা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় ধর্মতলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। নওশাদ ও তাঁর দলের কর্মীদের আটকের পরও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।