পুলিশের তৎপরতায় ছিনতাইয়ের মূল চক্র গ্রেফতার

- আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার
- / 136
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : কিশোরী বয়স থেকেই চুরিতে হাতেখড়ি, আর তারপর থেকে একের পর এক চুরির ঘটনায় যুক্ত রাবিয়া বিবি। লোকালট্রেনে চুরি, ছিনতাই, গ্রেফতার, জেলখাটা – সবই তার জীবনের নিয়মিত অধ্যায় হয়ে উঠেছিল। জেল থেকে বেরিয়েই আবার পুরনো অভ্যাসে ফিরতেন তিনি।
এতটাই নিখুঁত ছিল তার হাতসাফাইয়ের কায়দা যে, শিকাররা বুঝতেই পারতেন না কবে, কখন, কীভাবে টাকা বা গয়না হাত বদল হয়েছে। কাজের আগে দলবল নিয়ে রেইকি চালাতেন, টার্গেট বেছে তারপরেই হত পদক্ষেপ। আর এবার সোনারপুর থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো হাত সাফাইয়ের মূল কারিগর রাবিয়া বিবি। এই চক্রের মূল মাথা রাবিয়া বিবি।
প্রথমদিকে একা কাজ করলেও পরে তার স্বামী সহ আরও কয়েকজন যুক্ত হন। ট্রেন ছাড়িয়ে এবার ব্যাঙ্কে নজর দিতে শুরু করে এই দল। বিশেষত বয়স্কদেরই নিশানা বানানো হত। দলের লোকজন ব্যাঙ্কে ঢুকে খেয়াল করত কারা টাকা তুলছেন, কতটা টাকা তুলছেন এবং কোন ব্যাগে রাখছেন। এরপর রাবিয়া নিখুঁত ব্লেড কৌশলে ব্যাগ কেটে টাকা উধাও করে দিতেন। এতটাই সাবলীল ছিল এই কাজ যে টের পাওয়ার আগেই খেল খতম।
সম্প্রতি সোনারপুরের এক ব্যাঙ্ক থেকে তপতী সরকার নামে এক মহিলা এক লক্ষ টাকা তোলেন। ব্যাঙ্কের বাইরে চা খেতে দাঁড়াতেই রাবিয়া ও তার সঙ্গীদের ফাঁদে পড়েন তিনি। অভিযোগ দায়ের হতেই সোনারপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে এবং শেষমেশ রাবিয়া বিবি ও মিতা পুরকাইতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর, জয়নগর থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া পর্যন্ত রাবিয়ার একাধিক ঘাঁটি রয়েছে।
শুধু তাই নয়, দুই ২৪ পরগনা ছাড়া ও হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়ায় ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্রের জাল। বহুবার ধরা পড়লেও আবারও একই কায়দায় সক্রিয় হয়ে ওঠা রাবিয়ার দাপট শেষ পর্যন্ত পুলিশের ফাঁদে আটকে গেল।সোনারপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে দূস্কৃতীরা ধরা পড়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সাধারণ মানুষ।