০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিড ডে মিল সহ মাদ্রাসা পরিচালনা ও পঠন পাঠনে গাফিলতির অভিযোগ, বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 333

পুবের কলম প্রতিবেদক : ঘটনাটি বসিরহাটের কোদালিয়া আমিনিয়া হাই মাদ্রাসার। নিম্নমানের মিড ডে মিলের খাবার, ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে আলাদাভাবে মাছ মাংস রান্না করে শিক্ষকদের খাওয়া দাওয়া, মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের মাইনে না দেওয়া, শিক্ষকদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি, ঠিক মতন পড়াশোনা না করানো, এরকম একাধিক অভিযোগে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখালো।

বিক্ষোভ কারীদের দাবি অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার মাদ্রাসার সামনে এই বিক্ষোভের শামিল হয় গ্রামবাসী সহ অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভ কারীদের দাবি- প্রধান শিক্ষক নিজের মর্জি মতন চলেন। ভর্তি ফিস পরীক্ষার ফিস সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে অর্থ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি টাকা তিনি নেন।‌ মিড ডে মিলের রান্না অতি নিম্নমানের। যা ছাত্রছাত্রীরা খেতে পারে না। পাশাপাশি মিড ডে মিলের রান্নায় গরমিল।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, বাচ্চাদের নিম্নমানের খাবার দিয়ে শিক্ষকরা নিজেরা প্রায়ই দিন মাছ, মাংস রান্না করে আলাদাভাবে ছাত্রছাত্রীদের সামনেই খান। মিড ডে মিলের রান্না যারা করে তাদের মাইনে ঠিকমতন দেওয়া হয় না। প্রধান শিক্ষক সবসময় মোবাইলে আসক্ত থাকেন। অন্য শিক্ষকরাও ঠিকমতো ক্লাস করেন না, মোবাইল নিয়েই বসে থাকেন। যদিও বিক্ষোভের সময় শিক্ষকরা স্কুলের মধ্যেই গেট দিয়ে ভেতরে ছিলেন। তাদেরকে বহু ডাকাডাকিতেও তারা বাইরে বের হয়নি। এক শিক্ষক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: ৬৫ বছরের পুরোনো মাদ্রাসাকে গুঁড়িয়ে দিল যোগীর বুলডোজার

বিক্ষোভকারি দের দাবি, প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে এখান থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। যাতে মাদ্রাসা সঠিক নিয়মে এবং সঠিকভাবে চলতে পারে। প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিড ডে মিলের বরাদ্দ অনুযায়ী সাধ্যমত খাবার দেওয়া হয়। অন্য শিক্ষকরা আলাদাভাবে মাছ মাংস রান্না করে খান কিনা আমার জানা নেই, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্যার জন্য রাঁধুনীদের টাকা সময় মত দেওয়া সম্ভব হয়নি। দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: বিগ ব্রেকিং: মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি , পরীক্ষার্থী বেড়ে ৬৫ হাজার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিড ডে মিল সহ মাদ্রাসা পরিচালনা ও পঠন পাঠনে গাফিলতির অভিযোগ, বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : ঘটনাটি বসিরহাটের কোদালিয়া আমিনিয়া হাই মাদ্রাসার। নিম্নমানের মিড ডে মিলের খাবার, ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে আলাদাভাবে মাছ মাংস রান্না করে শিক্ষকদের খাওয়া দাওয়া, মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের মাইনে না দেওয়া, শিক্ষকদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি, ঠিক মতন পড়াশোনা না করানো, এরকম একাধিক অভিযোগে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখালো।

বিক্ষোভ কারীদের দাবি অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার মাদ্রাসার সামনে এই বিক্ষোভের শামিল হয় গ্রামবাসী সহ অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভ কারীদের দাবি- প্রধান শিক্ষক নিজের মর্জি মতন চলেন। ভর্তি ফিস পরীক্ষার ফিস সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে অর্থ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি টাকা তিনি নেন।‌ মিড ডে মিলের রান্না অতি নিম্নমানের। যা ছাত্রছাত্রীরা খেতে পারে না। পাশাপাশি মিড ডে মিলের রান্নায় গরমিল।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন জনিত সমস্যায় স্কুল খোলা থাকলেও,পড়ুয়া নেই মগরাহাটে

একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, বাচ্চাদের নিম্নমানের খাবার দিয়ে শিক্ষকরা নিজেরা প্রায়ই দিন মাছ, মাংস রান্না করে আলাদাভাবে ছাত্রছাত্রীদের সামনেই খান। মিড ডে মিলের রান্না যারা করে তাদের মাইনে ঠিকমতন দেওয়া হয় না। প্রধান শিক্ষক সবসময় মোবাইলে আসক্ত থাকেন। অন্য শিক্ষকরাও ঠিকমতো ক্লাস করেন না, মোবাইল নিয়েই বসে থাকেন। যদিও বিক্ষোভের সময় শিক্ষকরা স্কুলের মধ্যেই গেট দিয়ে ভেতরে ছিলেন। তাদেরকে বহু ডাকাডাকিতেও তারা বাইরে বের হয়নি। এক শিক্ষক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: ৬৫ বছরের পুরোনো মাদ্রাসাকে গুঁড়িয়ে দিল যোগীর বুলডোজার

বিক্ষোভকারি দের দাবি, প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে এখান থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। যাতে মাদ্রাসা সঠিক নিয়মে এবং সঠিকভাবে চলতে পারে। প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিড ডে মিলের বরাদ্দ অনুযায়ী সাধ্যমত খাবার দেওয়া হয়। অন্য শিক্ষকরা আলাদাভাবে মাছ মাংস রান্না করে খান কিনা আমার জানা নেই, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্যার জন্য রাঁধুনীদের টাকা সময় মত দেওয়া সম্ভব হয়নি। দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: বিগ ব্রেকিং: মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি , পরীক্ষার্থী বেড়ে ৬৫ হাজার