যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে (মহিলা) ছাত্রদলের আনজুমান আরা ইকরা, শিক্ষার্থী সমন্বিত জোটের আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের মালিহা নামলাহ ও সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ফারিয়া জামান—এই চারজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এক নজরে জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন (JUCSU) : শুরু ভোটগ্রহণ, কাদের মধ্যে লড়াই?
- আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 276
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডাকসু) পর বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (JUCSU) ও হল সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর সেদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে । ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: 2025 Nepalese Gen Z protests: অগ্নিগর্ভ নেপালে মৃত বেড়ে ৩০, আহত ১০০০
বলা বাহুল্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JUCSU) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ৫৪ বছর আগে। ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি। তখন চারটি বিভাগে ২১ জন শিক্ষক ও ১৫০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে জাকসু প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই বছরই জাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের প্রভাব বেশি ছিল। প্রথম নির্বাচনের সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন গোলাম মোর্শেদ এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা শাহ বোরহানউদ্দিন রোকন। তখনকার দুজন শিক্ষার্থী জানান, গোলাম মোর্শেদ সরাসরি রাজনীতি না করলেও জাসদ ছাত্রলীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
*বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে সকাল ১১টা ৫০ থেকে ১২টা ১৫ পর্যন্ত বন্ধ ছিল শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভোটগ্রহণ।
* জাকসুতে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ এবং ছাত্র ৬ হাজার ১৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
*সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একেকটি হলে পদসংখ্যা ১৫। ২১টি হল সংসদে মোট পদ ৩১৫টি। এতে ৪৭৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী নেই। একজন করে প্রার্থী রয়েছে ৬৭টি পদে। সে হিসেবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট হবে।
* নির্বাচনে লড়ছে যারা
*ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের মো. শেখ সাদী হাসান, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, শিক্ষার্থী সমন্বিত জোটের আরিফুল্লাহ আবিদ ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন জোটের আবদুর রশিদ জিতুর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে অনুমান দেশটির ছাত্রনেতাদের। এক সংবাদ-মাধ্যমে এই রিপোর্ট উঠে এসেছে।
জিএস পদে ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মুহাম্মদ সিয়াম, শিক্ষার্থী সমন্বিত জোটের মাজহারুল ইসলাম, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলনের শাকিল আলী ও সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের শরণ এহসানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

*জাকসু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, বামপন্থী সংগঠন ও সাংস্কৃতিক জোট সমর্থিত সম্প্রীতির ঐক্য। এর বাইরে বামপন্থী সংগঠনগুলোর অন্য অংশের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নামে পাঁচ সদস্যের আংশিক প্যানেল ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের মুখপাত্র মাহফুজ ইসলামের নেতৃত্বে আট সদস্যের ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ নামে আরেকটি আংশিক প্যানেল রয়েছে। এর বাইরে অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।
*ভোট গ্রহণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। শিক্ষার্থীরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ আসায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

































