Nepal protest: অগ্নিগর্ভ নেপালে মৃত ভারতীয় মহিলা দর্শনার্থী

- আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার
- / 251
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ নেপালে (Nepal protest) এবার মৃত্যু হল এক ভারতীয় মহিলার। পশুপতিনাথ মন্দির দর্শন নেপালে গিয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, কাঠমান্ডুর যে পাঁচতারা হোটেলে তিনি উঠেছিলেন তাতেই আগুন ধরিয়ে দেয় জেন জি’র বিদ্রোহীরা। পালাতে গিয়ে পাঁচতলা থেকে লাফ দেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গুরুতর অবস্থায়। চিকিৎসা চলাকালীনই রাজেশের (মৃতা মহিলা) মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে খবর। স্বামী রামবীর সিং গোলার সঙ্গে সেদেশে মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের বাসিন্দা তাঁরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বামী রামবীর সিং গোলার সঙ্গে কাঠমান্ডুতে (Kathmandu) গিয়েছিলেন রাজেশদেবী। আন্দোলনকারীরা তাঁদের অবস্থান করা হোটেলে আগুন লাগিয়ে দিলে পালানোর চেষ্টা করেন রাজেশ ও তাঁর স্বামী রামবীর সিং গোলা। আগুনের কারণে বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিচে চাদর বিছিয়ে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিতে বলেন। ঝাঁপ দেওয়ার পর গুরুতর আহত হন দুজনেই। হাসপাতালে নেওয়া হলে রাজেশ গোলাকে মৃত ঘোষণা করা হয়, যদিও তাঁর স্বামী সামান্য আহত হয়ে বর্তমানে সুস্থ আছেন।
নেপালে সম্প্রতি সরকার ২৬টি অনিবন্ধিত অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে, যার মধ্যে ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মও রয়েছে। এ সিদ্ধান্তে তরুণদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়।
এই আন্দোলনের পেছনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হামি নেপাল’-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিদেশি অনুদানপ্রাপ্ত এই সংগঠন ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানায়। বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।
নেপালে জেনারেশন জেড বিক্ষোভের সময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে পৌঁছেছে, পাশাপাশি আহত হয়েছে ১,৩৬৮ জন। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অধিকাংশকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
নেপালের জেনজি বিক্ষোভ মূলত যুব সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষোভের প্রতিফলন। এই আন্দোলন বেশির ভাগই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে এবং এতে অংশগ্রহণকারী তরুণরা সরকারি দুর্নীতি, সামাজিক অন্যায় এবং নাগরিক অধিকার হরণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে।