০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরফ কি একটু গলছে?

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
  • / 139

ভারত সফরে বাংলাদেশী সাংবাদিক প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশী কূটনৈতিক সাংবাদিকদের ভারত সফর

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরফ কি একটু গলছে? মাঝখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে খারাপ হয়েছে। ঢাকায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে নয়াদিল্লির মূল্যায়ণ খুব একটা ভালো নয়। ফলে ভারতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশীদের বিশেষ প্রয়োজন, মূলত কিছু মেডিক্যাল ভিসা ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছু ভিসা প্রদান ছাড়া নয়া ভিসা বাংলাদেশীরা পাচ্ছে না বললেই চলে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে পুরাতন গতিশীলতা আর নেই। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ‘ট্রাক টু’ কূটনৈতিক তৎপরতাও নজরে পড়ছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই দেশই। বিশেষ করে এর প্রভাব পড়েছে পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা ও অসমে। এই সুযোগে পাকিস্তান ও চিন বাংলাদেশে তাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য ভরপুর চেষ্টা করছে। পিছিয়ে নেই ট্রাম্পের আমেরিকাও। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই স্থবিরতা সরার কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না।

আরও পড়ুন: রমযানে সীমান্ত বাণিজ্যের সময় বদল

এর মধ্যে অবশ্য একটি ভালো খবর সামনে এসেছে। এই প্রথম ঢাকাস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশের ২৩জন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টকে ভারত সফরের জন্য বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা দিল্লি পৌঁছে গেছেন। আর এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বাকিরা পরবর্তী পর্যায়ে ভারত সফর করবেন। মূলত প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং দিল্লি ও পরে মুম্বইতে এই বাংলাদেশী সাংবাদিকরা তাঁদের সফর করবেন। যা তাঁদের ভারতের সমাজ, সংßৃñতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, রাষ্ট্রের কাঠামো এবং ভারতের জনগণ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে।

আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশে রফতানি বাণিজ্যে আরও গতি

উপরোক্ত কথাগুলি লিখেছেন বাংলাদেশের সফররত এক সাংবাদিক জনাব মাসুদ করিম। কূটনৈতিক মহল বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ভারতে আসার সুযোগ প্রদানকে এক ইতিবাচক সাড়া হিসেবে দেখছেন। শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসার পর এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম।

আরও পড়ুন: ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মতো: আহমদ হাসান

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনেকে আশা করছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সরকার আসবে, নয়াদিল্লি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে আলোচনার উদ্যোগ নেবে। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশী কূটনৈতিক সাংবাদিকদের ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরফ কি একটু গলছে?

আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

বাংলাদেশী কূটনৈতিক সাংবাদিকদের ভারত সফর

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরফ কি একটু গলছে? মাঝখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে খারাপ হয়েছে। ঢাকায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে নয়াদিল্লির মূল্যায়ণ খুব একটা ভালো নয়। ফলে ভারতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশীদের বিশেষ প্রয়োজন, মূলত কিছু মেডিক্যাল ভিসা ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছু ভিসা প্রদান ছাড়া নয়া ভিসা বাংলাদেশীরা পাচ্ছে না বললেই চলে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে পুরাতন গতিশীলতা আর নেই। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ‘ট্রাক টু’ কূটনৈতিক তৎপরতাও নজরে পড়ছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই দেশই। বিশেষ করে এর প্রভাব পড়েছে পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা ও অসমে। এই সুযোগে পাকিস্তান ও চিন বাংলাদেশে তাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য ভরপুর চেষ্টা করছে। পিছিয়ে নেই ট্রাম্পের আমেরিকাও। সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই স্থবিরতা সরার কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না।

আরও পড়ুন: রমযানে সীমান্ত বাণিজ্যের সময় বদল

এর মধ্যে অবশ্য একটি ভালো খবর সামনে এসেছে। এই প্রথম ঢাকাস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশের ২৩জন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টকে ভারত সফরের জন্য বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা দিল্লি পৌঁছে গেছেন। আর এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বাকিরা পরবর্তী পর্যায়ে ভারত সফর করবেন। মূলত প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং দিল্লি ও পরে মুম্বইতে এই বাংলাদেশী সাংবাদিকরা তাঁদের সফর করবেন। যা তাঁদের ভারতের সমাজ, সংßৃñতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, রাষ্ট্রের কাঠামো এবং ভারতের জনগণ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে।

আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশে রফতানি বাণিজ্যে আরও গতি

উপরোক্ত কথাগুলি লিখেছেন বাংলাদেশের সফররত এক সাংবাদিক জনাব মাসুদ করিম। কূটনৈতিক মহল বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ভারতে আসার সুযোগ প্রদানকে এক ইতিবাচক সাড়া হিসেবে দেখছেন। শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসার পর এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম।

আরও পড়ুন: ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মতো: আহমদ হাসান

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনেকে আশা করছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সরকার আসবে, নয়াদিল্লি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে আলোচনার উদ্যোগ নেবে। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশী কূটনৈতিক সাংবাদিকদের ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।