তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেলেন দারুল উলুম দেওবন্দ, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিলেন ভাষণ

- আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
- / 211
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তালিবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি আজ উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে অবস্থিত বিশিষ্ট ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দে উপস্থিত রয়েছেন। ছয় দিনের ভারত সফরে এসেছেন তিনি।
দারুল উলুমের মিডিয়া ইনচার্জ আশরাফ উসমানি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, “তিনি আমাদের দেশের অতিথি। তাঁর যথাযথ যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আজকের কর্মসূচিতে তিনি ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেবেন।”
১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ একটি আন্তর্জাতিক ইসলামিক মাদ্রাসা, যা ইসলামি শিক্ষার বিস্তার, প্রভাব এবং সুন্নি হানাফি মতবাদের প্রতি অনুগত থাকার জন্য পরিচিত। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের পর সাইয়্যেদ মহম্মদ আবিদ ও মহম্মদ কাসিম নানুতভির উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
তালিবান নেতৃত্বের বহু সদস্য পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়ায় অবস্থিত দারুল উলুম হাক্কানিয়ায় পড়াশোনা করেছেন—যা দেওবন্দের আদর্শ অনুসারে গড়ে উঠেছিল। এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা আব্দুল হক দেওবন্দেই পড়াশোনা ও শিক্ষকতা করেছিলেন। তাঁর পুত্র সামিউল হককে বলা হয় “তালিবানের জনক”।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেওবন্দ ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক বহু পুরনো। এমনকি ভারতের বিভাজনের আগেও দেওবন্দি আলেমরা আফগানিস্তানে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। ১৯১৩–১৯২০ সালের ‘সিল্ক লেটার মুভমেন্ট’-এর সময়ও দেওবন্দি নেতারা অটোমান সাম্রাজ্য, আফগানিস্তান ও জার্মানির সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিত্রতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
#WATCH | Saharanpur, Uttar Pradesh | Afghanistan Foreign Minister Amir Khan Muttaqi says, “I am thankful to all of you for the warm welcome given to me by everyone in Deoband and the love showered upon me. I will pray to god that India-Afghanistan relations improve further. After… pic.twitter.com/D2IeMhfPDK
— ANI (@ANI) October 11, 2025