রাজ্য-কমিশন সংঘাত তুঙ্গে, মুখ্যসচিবকে চিঠি কমিশনের

- আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
- / 182
পুবের কলম প্রতিবেদক: আসন্ন ‘স্পেশাল ইন্টেসসিভ রিভিশন’ -এর আবহে রাজ্যে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ইলেক্টরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ঘিরে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে তীব্র পত্র-সংঘাত শুরু হয়েছে। ইআরও পদে সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও)-এর নীচের পদমর্যাদার আধিকারিকদের নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, ৩ অক্টোবর কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় এবং মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চায় যে ইআরও নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রীতি ও পদমর্যাদার নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও কেন তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। সাধারণত ইআরও পদে এসডিও অথবা সম-পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়োগ করার কথা।
কমিশনের বক্তব্য, যদি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এসডিও বা সম-পদমর্যাদার আধিকারিকের সংখ্যা কম থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে সে বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে আগে জানানো হয়নি। এই নিয়ম লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন নবান্নে এই চিঠি পাঠিয়েছে।গত শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন। ইআরও এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও)-দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা
উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন উঠলে এসআইআর-এর প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।লোকপাল আইন অনুযায়ী, হলফনামা ছাড়া কোনো সরকারি আধিকারিককে অভিযোগ দেওয়া যায় না এবং মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছরের জেল হতে পারে। কমিশন প্রশ্ন তুলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সময় মুখ্যসচিব সেখানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তিনি কী ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই সমস্ত বিষয়গুলি জানতে চেয়েছে কমিশন।