১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কংগ্রেসে যোগ দিলেন মোদি বিরোধী সেই আইএএস কর্মকর্তা কান্নন গোপীনাথন

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 89

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর রাজ্যজুড়ে ‘লকডাউন’-এর প্রতিবাদে ২০১৯ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া সাবেক আইএএস কর্মকর্তা কান্নন গোপীনাথন সোমবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে. সি. ভেনুগোপাল, পবন খেরা ও কানহাইয়া কুমারের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।

যোগদানের পর এক্স-এ গোপীনাথন লিখেছেন, “আইএএস-এ যোগ দিয়েছিলাম মানুষের সেবা করার জন্য। পদত্যাগ করেছিলাম সত্য বলার জন্য। এখন কংগ্রেসের মাধ্যমে আমি দুটোই করতে পারব — অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং জনগণের পাশে দাঁড়ানো।” তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীসহ দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “তারা আমাকে পরিবারের সদস্যের মতো আপন করে নিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: ৩৪ বছরে ৫৭ বার বদলি, অবসর নিলেন আপোসহীন আইএএস খেমকা

কেন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন — এ বিষয়ে গোপীনাথন বলেন, “আমি বুঝেছি, এই দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করার ক্ষমতা একমাত্র কংগ্রেসেরই আছে। ২০১৯ সালে যখন পদত্যাগ করি, তখনই পরিষ্কার ছিল—সরকার দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: স্মার্ট ফোনের সাহায্যে কুলি থেকে আইএএস অফিসার হয়ে নজির গড়লেন কেরলের শ্রীনাথ  

এরপর দেশজুড়ে ৮০–৯০টি জেলায় ঘুরে, মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর আমি উপলব্ধি করি, কংগ্রেসই দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করতে পারে, কিন্তু পুরো রাজ্যকে বন্ধ করে দেওয়া, সাংবাদিক, সাংসদ ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে ভরা, যোগাযোগ ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা—এগুলো কি সঠিক? গণতান্ত্রিক দেশে এমন হওয়া উচিত? আমি তখন যে প্রশ্ন তুলেছিলাম, আজও তার পাশে আছি।”

২০১৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেয় এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে-জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এর পর থেকেই রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলো রাজ্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কংগ্রেসে যোগ দিলেন মোদি বিরোধী সেই আইএএস কর্মকর্তা কান্নন গোপীনাথন

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর রাজ্যজুড়ে ‘লকডাউন’-এর প্রতিবাদে ২০১৯ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া সাবেক আইএএস কর্মকর্তা কান্নন গোপীনাথন সোমবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে. সি. ভেনুগোপাল, পবন খেরা ও কানহাইয়া কুমারের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।

যোগদানের পর এক্স-এ গোপীনাথন লিখেছেন, “আইএএস-এ যোগ দিয়েছিলাম মানুষের সেবা করার জন্য। পদত্যাগ করেছিলাম সত্য বলার জন্য। এখন কংগ্রেসের মাধ্যমে আমি দুটোই করতে পারব — অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং জনগণের পাশে দাঁড়ানো।” তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীসহ দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “তারা আমাকে পরিবারের সদস্যের মতো আপন করে নিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: ৩৪ বছরে ৫৭ বার বদলি, অবসর নিলেন আপোসহীন আইএএস খেমকা

কেন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন — এ বিষয়ে গোপীনাথন বলেন, “আমি বুঝেছি, এই দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করার ক্ষমতা একমাত্র কংগ্রেসেরই আছে। ২০১৯ সালে যখন পদত্যাগ করি, তখনই পরিষ্কার ছিল—সরকার দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: স্মার্ট ফোনের সাহায্যে কুলি থেকে আইএএস অফিসার হয়ে নজির গড়লেন কেরলের শ্রীনাথ  

এরপর দেশজুড়ে ৮০–৯০টি জেলায় ঘুরে, মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর আমি উপলব্ধি করি, কংগ্রেসই দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করতে পারে, কিন্তু পুরো রাজ্যকে বন্ধ করে দেওয়া, সাংবাদিক, সাংসদ ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে ভরা, যোগাযোগ ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা—এগুলো কি সঠিক? গণতান্ত্রিক দেশে এমন হওয়া উচিত? আমি তখন যে প্রশ্ন তুলেছিলাম, আজও তার পাশে আছি।”

২০১৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেয় এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে-জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এর পর থেকেই রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলো রাজ্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে।