সারদা মামলায় রাজীবের জামিন প্রশ্নে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

- আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
- / 137
মোল্লা জসিমউদ্দিন: আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত সারদা চিটফান্ড মামলায় আইপিএস রাজীব কুমারকে গত ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই দারস্থ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই এবং এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার ৬ বছর পর এই মামলাটির শুনানি চলে।
এদিন সিবিআই এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ‘৬ বছর ধরে আপনারা কী করছিলেন? কেন জিজ্ঞাসাবাদ করেননি?- প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। হয়রানি এবং সম্মানহানি করতেই এই মামলা বলে দাবি রাজীব কুমারের আইনজীবীর। সোমবার মামলার শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন,’ ছয় বছর পর কেন এলেন?’ তার উত্তরে সলিসিটর জেনারেল আদালত কে বলেন, ‘এত বছর পর আগাম যাই জামিন নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। তবে শুধু আগাম জামিন নয়, আমাদের অফিসারদের প্রতিক্ষেত্রে তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা চাই আগে আদালত অবমাননার শুনানি হোক।’ তখন প্রধান বিচারপতি সিবিআই-এর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘আমরা নোটিশ ইস্যু করেছিলাম।
৬ বছর ধরে আপনারা কি করছিলেন?’ তার উত্তরে সিবিআই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলে, ‘বিষয়টি শুধু জামিনে আটকে নেই। এই মামলার আসল প্রতিদ্বন্দ্বী হল রাজ্য সরকার।’এদিন আদালতে আইপিএস রাজিব কুমারের আইনজীবী অভিযোগ করেন সম্মানহানির জন্যই সিবিআই এই সমস্ত কিছু করছে। রাজীব কুমারের আইনজীবী বলেন, ‘তদন্তে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।
গত ছয় বছরে তারা একবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেনি। শুধুমাত্র হয়রানি এবং সম্মানহানি করার জন্যই সিবিআই এই মামলা করেছে।’ গত ৬ বছরে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত ৬ বছর ধরে আপনারা কী করেছেন? কেন গত ৬ বছরে তদন্তের প্রয়োজনে ডাকেননি।
কী করেছেন এত দিন? এতদিন ধরে কি আমরা মামলা বিচারাধীন রাখব? তাহলে মামলাটি রাখার দরকার কী? আদালত অবমাননা মামলার শুনানি হোক, না হলে আমরা মামলা খারিজ করে দেব।’ তার উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদলতকে বলেন, ‘কেন ৬ বছর ধরে মামলা ঝুলে রয়েছে, তার পুরো বিষয়টা আপনি শুনলে অবাক হবেন। এই মামলায় একাধিক গুরুতর বিষয়ে রয়েছে।’ সম্পর্কে বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি জানান আগামী শুক্রবার আদালত অবমাননার শুনানি হবে।