দুর্গাপুর ছাত্রী-ধর্ষণ: ৪৮ ঘণ্টায় গ্রেফতার ৫ অভিযুক্ত, তদন্তে বড় অগ্রগতি

- আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
- / 101
পুবের কলম প্রতিবেদক, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জ এলাকায় ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার শেষ অভিযুক্তও ধরা পড়ায় তদন্তে বড় অগ্রগতি হয়েছে।
এদিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয় এই দু’জনকে। এর আগে রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ৩ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় জড়িত প্রত্যেককে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। মূল অভিযোগ অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সহপাঠী পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে রাতে খাবার কিনতে বের হন। তখন অভিযুক্তরা তাকে হেনস্থা করে রাস্তার পাশে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে গণধর্ষণ করে। জিজ্ঞাসাবাদে কিছু অসঙ্গতি টের পেয়ে সহপাঠীকে পুলিশ আটক করে রেখেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে নাসিরউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। সোমবার গোপালমাঠ থেকে আরও একজনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন তদন্তকারীরা তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করবেন।
এছাড়া অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। দুর্গাপুরে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে ক্ষোভ প্রকাশ করে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, জিরো টলারেন্স নীতি মেনে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযুক্তরা আইন অনুযায়ী শাস্তিপ্রাপ্ত হবেন।
পুলিশের সক্রিয় তৎপরতায় দ্রুত গ্রেপ্তারের ফলে আশাবাদ তৈরি হয়েছে যে, ঘটনার দ্রুত সমাধান সম্ভব হবে। সোমবারও এই ঘটনায় রীতিমতো সরগরম দুর্গাপুর। পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সামনে আসার পরে প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং প্রদীপ মজুমদার পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।