সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা পাবেন ক্যাশলেস চিকিৎসা, নতুন ব্যবস্থা চালুর পথে রাজ্য

- আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 73
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এবার পথ দুর্ঘটনায় আহত হলে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি মিলবে নগদহীন চিকিৎসার সুবিধা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই এই বিশেষ নিয়মটি চালু হতে পারে বাংলায়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বিশেষ পরিষেবাটি শুরু হয়ে গেলে নিঃসন্দেহে বহু মানুষ উপকৃত হবেন সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশব্যাপী কেউ সড়ক দুর্ঘটনার হলে জন্য নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প ঘোষণা করেছে , যার অধীনে তারা প্রতি দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ ১.৫ টাকা লক্ষ টাকা পাওয়ার যোগ্য হবেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের জারি করা একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই প্রকল্পটি ৫ মে, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও রাস্তায় মোটরযান ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে, এই প্রকল্পের বিধান অনুসারে নগদহীন চিকিৎসার অধিকারী হবেন।’ দেশব্যাপী এই নতুন ব্যবস্থা শুরু করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে এবার মনে কড়া হচ্ছে বাংলাতেও এই সুবিধা শুরু হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
এর আগে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এনএইচএ পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদির সাথে সমন্বয় করে এই কর্মসূচির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ সেই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নোডাল সংস্থা হবে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য দায়ী থাকবে যাতে মনোনীত হাসপাতালগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা, মনোনীত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির জন্য পোর্টালটি গ্রহণ ও ব্যবহার করা যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা মিলবে। এই খাতে সর্বাধিক দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় প্রকল্প। অতিরিক্ত খরচ রোগীর দায়িত্বে থাকবে। এর জন্য রাজ্যজুড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের তালিকা তৈরি হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ আহতকে নিকটবর্তী তালিকাভুক্ত হাসপাতালে ভর্তি করবে। চিকিৎসকরা দেখেই ঠিক করবেন ভর্তি নেওয়া দরকার কি না। যদি রোগীকে ভর্তি করা হয়, তবে ‘পেশেন্ট আইডি’ তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে। এরপর থানার তরফে এফআইআর নম্বর ও অন্যান্য তথ্য যুক্ত করে তা কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করা হবে। এরপর রোড সেফটি কমিটি সব তথ্য যাচাই করে অর্থ অনুমোদন দেবে। যদি দুর্ঘটনার এলাকায় তালিকাভুক্ত হাসপাতাল না থাকে, তাহলে অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি করালেও প্রকল্পের আওতায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ মিটবে।