১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কের চা রফতানিতে রেকর্ড উত্থান: ৯ মাসে আয় ২২.২ মিলিয়ন ডলার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
  • / 56

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তুরস্কের চা এখন বিশ্বের এক শতাধিক দেশে পৌঁছে গেছে। সে দেশের পূর্ব কৃষ্ণসাগর রফতানিকারক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে তুরস্ক মোট ১১২টি দেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে চা রফতানি করেছে, যার মাধ্যমে আয় হয়েছে ২২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১৭.৯ মিলিয়ন ডলার।

এই নয় মাসে তুরস্ক মোট ৪,০৫৭ টন চা রফতানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। রফতানিকারকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বেলজিয়াম, ব্রিটেন ও উত্তর সাইপ্রাস তুর্কি প্রজাতন্ত্র। শুধুমাত্র এই তিন দেশই যথাক্রমে ৭.৮ মিলিয়ন, ৩.৬ মিলিয়ন এবং ১.৯ মিলিয়ন ডলারের তুর্কি চা আমদানি করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রিজে প্রদেশ একাই তুরস্কের মোট চা রফতানির ৪৮ শতাংশ সরবরাহ করেছে;২,৬৭০ টন চা রফতানি করে আয় করেছে ১০.৭ মিলিয়ন ডলার। রিজে প্রদেশ থেকে মোট ২৫টি দেশে চা রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে বেলজিয়াম অন্যতম বড় বাজার।

সংস্থাটির সহ-সভাপতি ও চা সেক্টর কমিটির প্রধান সাবান তুরগুত জানান, ‘ইউরোপে তুর্কি চা রফতানিতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ব্র্যান্ডিং, গুণমান এবং আগ্রহ বৃদ্ধির ফলে তুরস্কের চায়ের বাজার প্রতিদিনই বাড়ছে।’ তুরগুত আরও বলেন, বছরের শেষ ত্রৈমাসিক সাধারণত রফতানির জন্য ব্যস্ত সময়। ‘যদি এই গতি বজায় থাকে, তবে ২০২৫ সালের শেষে চা রফতানি আয় ২৮ মিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে,’ তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুরস্কের চা রফতানিতে রেকর্ড উত্থান: ৯ মাসে আয় ২২.২ মিলিয়ন ডলার

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তুরস্কের চা এখন বিশ্বের এক শতাধিক দেশে পৌঁছে গেছে। সে দেশের পূর্ব কৃষ্ণসাগর রফতানিকারক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে তুরস্ক মোট ১১২টি দেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে চা রফতানি করেছে, যার মাধ্যমে আয় হয়েছে ২২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১৭.৯ মিলিয়ন ডলার।

এই নয় মাসে তুরস্ক মোট ৪,০৫৭ টন চা রফতানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। রফতানিকারকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বেলজিয়াম, ব্রিটেন ও উত্তর সাইপ্রাস তুর্কি প্রজাতন্ত্র। শুধুমাত্র এই তিন দেশই যথাক্রমে ৭.৮ মিলিয়ন, ৩.৬ মিলিয়ন এবং ১.৯ মিলিয়ন ডলারের তুর্কি চা আমদানি করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রিজে প্রদেশ একাই তুরস্কের মোট চা রফতানির ৪৮ শতাংশ সরবরাহ করেছে;২,৬৭০ টন চা রফতানি করে আয় করেছে ১০.৭ মিলিয়ন ডলার। রিজে প্রদেশ থেকে মোট ২৫টি দেশে চা রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে বেলজিয়াম অন্যতম বড় বাজার।

সংস্থাটির সহ-সভাপতি ও চা সেক্টর কমিটির প্রধান সাবান তুরগুত জানান, ‘ইউরোপে তুর্কি চা রফতানিতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ব্র্যান্ডিং, গুণমান এবং আগ্রহ বৃদ্ধির ফলে তুরস্কের চায়ের বাজার প্রতিদিনই বাড়ছে।’ তুরগুত আরও বলেন, বছরের শেষ ত্রৈমাসিক সাধারণত রফতানির জন্য ব্যস্ত সময়। ‘যদি এই গতি বজায় থাকে, তবে ২০২৫ সালের শেষে চা রফতানি আয় ২৮ মিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে,’ তিনি আশা ব্যক্ত করেন।