১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙছে ঘরবাড়ি, নারী-শিশুদের ছাড় নেই, পশ্চিম তীরে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করছে ইসরাইল!

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 119

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণে খাল্লেত আল-ডাবা গ্রামের নিস্তব্ধ সকাল ভেঙে গিয়েছিল বুলডোজারের গর্জনে। ৫ মে ইসরায়েলি সেনারা হঠাৎই গ্রামটি ঘিরে ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করে, নারী-শিশুসহ সবাইকে বের করে দেয় রোদে। একদিনেই পুরো গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর পশ্চিম তীরে এমন চারটি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। স্থানীয়দের ভাষায় এটি “নতুন নাকবা”—১৯৪৮ সালের জাতিগত নির্মূলের পুনরাবৃত্তি।

আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ: নিহতের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু জানাল রাষ্ট্রসংঘ

বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো কেউ গুহায়, কেউ নাজুক তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ—সবই অনুপস্থিত। স্থানীয় কাউন্সিল প্রধান মোহাম্মদ রাবিয়া বলেন, “আমরা প্রায় প্রস্তরযুগে ফিরে গেছি, তবুও কেউ গ্রাম ছাড়েনি।”

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, মাসাফার ইয়াত্তায় এই ধ্বংসযজ্ঞ ইসরায়েলের বৃহত্তর জাতিগত নির্মূল নীতির অংশ, যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের চিরতরে উচ্ছেদ করা।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভাঙছে ঘরবাড়ি, নারী-শিশুদের ছাড় নেই, পশ্চিম তীরে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করছে ইসরাইল!

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণে খাল্লেত আল-ডাবা গ্রামের নিস্তব্ধ সকাল ভেঙে গিয়েছিল বুলডোজারের গর্জনে। ৫ মে ইসরায়েলি সেনারা হঠাৎই গ্রামটি ঘিরে ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করে, নারী-শিশুসহ সবাইকে বের করে দেয় রোদে। একদিনেই পুরো গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর পশ্চিম তীরে এমন চারটি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। স্থানীয়দের ভাষায় এটি “নতুন নাকবা”—১৯৪৮ সালের জাতিগত নির্মূলের পুনরাবৃত্তি।

আরও পড়ুন: ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ: নিহতের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু জানাল রাষ্ট্রসংঘ

বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো কেউ গুহায়, কেউ নাজুক তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ—সবই অনুপস্থিত। স্থানীয় কাউন্সিল প্রধান মোহাম্মদ রাবিয়া বলেন, “আমরা প্রায় প্রস্তরযুগে ফিরে গেছি, তবুও কেউ গ্রাম ছাড়েনি।”

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, মাসাফার ইয়াত্তায় এই ধ্বংসযজ্ঞ ইসরায়েলের বৃহত্তর জাতিগত নির্মূল নীতির অংশ, যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের চিরতরে উচ্ছেদ করা।