২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে জনগণের সরকার হবে বিহারে

ভাজপার ২০ বছরের শাসনেও ভাগ্য খোলেনি বিহারের: গেরুয়া শিবিরকে নিশানা তেজস্বীর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 107

পুবের কলম, পাটনা: ভাজপার ২০ বছরের শাসনেও ভাগ্য খোলেনি বিহারের কৃষকদের। এরাজ্যের কৃষকদের কথা ভাবেনি তারা। ২০ বছরের শাসনের পরও কৃষকদের জীবনের মানোন্নয়ন না হওয়ায় তিনি ব্যথিত বলে মমন্তব্য করলেন আরজেডি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব।

শুক্রবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন, এনডিএ জোট ফের ক্ষমতায় আসলে এবার নীতীশ কুমারকে আর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না। বিহারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে লালুপুত্রের বক্তব্য, বিহারের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও অপরাধীদের বাঁচিয়ে এসেছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়া জোট রাজ্যে ক্ষমতায় এলে একটি পরিচ্ছন্ন সরকার উপহার দেওয়া হবে জনগণকে। এমন একটি সরকার তৈরি হবে যেখানে জনগণের সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনা হবে। রাজ্যের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ এবং চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

বিহারের বখতিয়ারপুরে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী বলেন, “একজন বিহারি হিসেবে আমি দুঃখিত যে আমার রাজ্য দারিদ্রতা ঘোচাতে পারেনি। বেকারত্ব, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে রাজ্যে। বিহারে এনডিএ শাসনের ২০ বছর এবং কেন্দ্রে ১১ বছর এনডিএ ক্ষমতায় থাকার সত্ত্বেও রাজ্য দারিদ্রমুক্ত হয়নি। এরাজ্যে মাথাপিছু আয় সবচেয়ে কম এবং কৃষকরা দরিদ্রই রয়ে গেছেন।” তেজস্বীর দাবি, “এনডিএ ক্ষমতায় আসলে নীতীশ কুমারকে আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না।”

আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন হাসি-ঠাট্টা, নীতীশকে ‘অচেতন’ কটাক্ষ তেজস্বীর

কদিন আগেই পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তেজস্বী বলেছেন, “বিজেপি গুজরাটে কারখানা স্থাপন করে বিহারে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তারা জানে না, বিহারিরা তা হবে দেবে না।” বিহারে আরজেডি শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘জঙ্গল রাজ’-এর অভিযোগের জবাবে লালুপুত্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই নীতীশ সরকারের ৫৫টি কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করেছেন। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি? গেরুয়া শিবির ‘জঙ্গলরাজ’ এবং কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তারা দুর্নীতিগ্রস্থদের সুরক্ষা দিয়েছে, যেখানে অপরাধীরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়।”

আরও পড়ুন: বিজেপিকে হঠাতে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাক নীতীশ, শরদ ও উদ্ধবের

কেন্দ্রকে নিশানা করে তেজস্বী সাফ জানান, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঘটেছে। তাঁর কথায়, “আমি অর্ধসত্য ও মিথ্যা কথা বলি না। আপনারা সবাই জানেন, যে আমি যা বলি তা করি। ইন্ডিয়া জোট নির্বাচনে জিতলে তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হবেন এবং মানুষ ‘চিন্তামুক্ত’ হয়ে যাবে। আমি নিশ্চিত করব যে, রাজ্যে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ হবে না এবং বিহারে দুর্নীতিমুক্ত সরকার তৈরি করব। আমাদের সরকার বিহারের মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চাকরির ব্যবস্থা করবে।

আমরা নিশ্চিত করব যে আমাদের সরকার হবে জনগণের সরকার।” মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রুতিশ্রুতি দিয়ে আরও বলেন, “বিহারে ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে পাঁচশো টাকা করব, বার্ধক্য ভাতা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করব। প্রতিটি পরিবারকে একটি করে সরকারী চাকরি দেওয়া হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী চাকরি দেবে ইন্ডিয়া জোটের সরকার।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বে জনগণের সরকার হবে বিহারে

ভাজপার ২০ বছরের শাসনেও ভাগ্য খোলেনি বিহারের: গেরুয়া শিবিরকে নিশানা তেজস্বীর

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, পাটনা: ভাজপার ২০ বছরের শাসনেও ভাগ্য খোলেনি বিহারের কৃষকদের। এরাজ্যের কৃষকদের কথা ভাবেনি তারা। ২০ বছরের শাসনের পরও কৃষকদের জীবনের মানোন্নয়ন না হওয়ায় তিনি ব্যথিত বলে মমন্তব্য করলেন আরজেডি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব।

শুক্রবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন, এনডিএ জোট ফের ক্ষমতায় আসলে এবার নীতীশ কুমারকে আর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না। বিহারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে লালুপুত্রের বক্তব্য, বিহারের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও অপরাধীদের বাঁচিয়ে এসেছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়া জোট রাজ্যে ক্ষমতায় এলে একটি পরিচ্ছন্ন সরকার উপহার দেওয়া হবে জনগণকে। এমন একটি সরকার তৈরি হবে যেখানে জনগণের সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনা হবে। রাজ্যের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ এবং চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

বিহারের বখতিয়ারপুরে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী বলেন, “একজন বিহারি হিসেবে আমি দুঃখিত যে আমার রাজ্য দারিদ্রতা ঘোচাতে পারেনি। বেকারত্ব, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে রাজ্যে। বিহারে এনডিএ শাসনের ২০ বছর এবং কেন্দ্রে ১১ বছর এনডিএ ক্ষমতায় থাকার সত্ত্বেও রাজ্য দারিদ্রমুক্ত হয়নি। এরাজ্যে মাথাপিছু আয় সবচেয়ে কম এবং কৃষকরা দরিদ্রই রয়ে গেছেন।” তেজস্বীর দাবি, “এনডিএ ক্ষমতায় আসলে নীতীশ কুমারকে আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে না।”

আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন হাসি-ঠাট্টা, নীতীশকে ‘অচেতন’ কটাক্ষ তেজস্বীর

কদিন আগেই পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তেজস্বী বলেছেন, “বিজেপি গুজরাটে কারখানা স্থাপন করে বিহারে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তারা জানে না, বিহারিরা তা হবে দেবে না।” বিহারে আরজেডি শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘জঙ্গল রাজ’-এর অভিযোগের জবাবে লালুপুত্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই নীতীশ সরকারের ৫৫টি কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করেছেন। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি? গেরুয়া শিবির ‘জঙ্গলরাজ’ এবং কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তারা দুর্নীতিগ্রস্থদের সুরক্ষা দিয়েছে, যেখানে অপরাধীরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়।”

আরও পড়ুন: বিজেপিকে হঠাতে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাক নীতীশ, শরদ ও উদ্ধবের

কেন্দ্রকে নিশানা করে তেজস্বী সাফ জানান, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঘটেছে। তাঁর কথায়, “আমি অর্ধসত্য ও মিথ্যা কথা বলি না। আপনারা সবাই জানেন, যে আমি যা বলি তা করি। ইন্ডিয়া জোট নির্বাচনে জিতলে তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হবেন এবং মানুষ ‘চিন্তামুক্ত’ হয়ে যাবে। আমি নিশ্চিত করব যে, রাজ্যে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ হবে না এবং বিহারে দুর্নীতিমুক্ত সরকার তৈরি করব। আমাদের সরকার বিহারের মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চাকরির ব্যবস্থা করবে।

আমরা নিশ্চিত করব যে আমাদের সরকার হবে জনগণের সরকার।” মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রুতিশ্রুতি দিয়ে আরও বলেন, “বিহারে ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে পাঁচশো টাকা করব, বার্ধক্য ভাতা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করব। প্রতিটি পরিবারকে একটি করে সরকারী চাকরি দেওয়া হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী চাকরি দেবে ইন্ডিয়া জোটের সরকার।”