২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৮০ হাজার বাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর রাজ্যে প্রথম

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
  • / 138

পুবের কলম প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর: রাজ্যের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়ি নির্মিত হয়েছে, যা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু গরীব পরিবার মাথার উপর ছাদ পাচ্ছে, এবং তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক লক্ষ দু’হাজার একশো দশজন বাসিন্দা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০৩ কোটি টাকা, এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে কিছু পরিবার এখনও পিছিয়ে রয়েছে এবং তাদের বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: টাকা পেয়েও যাঁরা কাজ শুরু করেনি ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প নিয়ে কড়া পঞ্চায়েত দফতর

জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন, ‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রশাসনের তৎপরতার কারণেই এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’ তবে, বাড়ি নির্মাণে কিছু বাধা আসছিল।

আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবে নবান্ন

বিশেষত, কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দের টাকা আটকে দেওয়ার কারণে কিছু পরিবারকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বর্ষাকালে এবং বন্যায় তাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তাই রাজ্য সরকার দ্রুততার সাথে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

আরও পড়ুন: ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করতে কেন দেরি , কারণ জানতে নবান্নে মুখ্যসচিবের বৈঠক

প্রশাসন জানিয়েছে, মোট ১২ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার পর কেশপুর, কেশিয়াড়ি, সবং, ডেবরা এবং শালবনী ব্লকে বহু পরিবার উপকৃত হয়েছে। তবে কিছু পরিবারের ক্ষেত্রে টাকা পেয়ে কাজ শুরু না করার অভিযোগ উঠেছে, এবং সেই ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া, শালবনীর বাসিন্দারা আশা করছেন, পরবর্তী ধাপে অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৮০ হাজার বাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর রাজ্যে প্রথম

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর: রাজ্যের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়ি নির্মিত হয়েছে, যা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু গরীব পরিবার মাথার উপর ছাদ পাচ্ছে, এবং তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক লক্ষ দু’হাজার একশো দশজন বাসিন্দা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০৩ কোটি টাকা, এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে কিছু পরিবার এখনও পিছিয়ে রয়েছে এবং তাদের বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: টাকা পেয়েও যাঁরা কাজ শুরু করেনি ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প নিয়ে কড়া পঞ্চায়েত দফতর

জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন, ‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রশাসনের তৎপরতার কারণেই এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’ তবে, বাড়ি নির্মাণে কিছু বাধা আসছিল।

আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্তদের “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবে নবান্ন

বিশেষত, কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দের টাকা আটকে দেওয়ার কারণে কিছু পরিবারকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বর্ষাকালে এবং বন্যায় তাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তাই রাজ্য সরকার দ্রুততার সাথে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

আরও পড়ুন: ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করতে কেন দেরি , কারণ জানতে নবান্নে মুখ্যসচিবের বৈঠক

প্রশাসন জানিয়েছে, মোট ১২ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার পর কেশপুর, কেশিয়াড়ি, সবং, ডেবরা এবং শালবনী ব্লকে বহু পরিবার উপকৃত হয়েছে। তবে কিছু পরিবারের ক্ষেত্রে টাকা পেয়ে কাজ শুরু না করার অভিযোগ উঠেছে, এবং সেই ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া, শালবনীর বাসিন্দারা আশা করছেন, পরবর্তী ধাপে অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।